পেট ব্যথার কথা বলে সিউিউল ফাঁসালেন তানিয়া বৃষ্টি

বিনোদন ডেস্ক : সিউিউল ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টির বিরুদ্ধে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরএস প্রোডাকশনের কর্ণধার রফিকুল ইসলাম তানিয়া বৃষ্টির বিরুদ্ধে সিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগে ক্ষতিপূরণ ও শাস্তি দাবি করে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের শালিসি কমিটির আহ্বায়ক বরাবর আবেদন করেছেন।

এছাড়া পরিচালক কামরুল হাসান ফুয়াদও তানিয়া বৃষ্টির বিরুদ্ধে ডিরেক্টর গিল্ডে অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে তানিয়া বৃষ্টি পরিচালক সৈয়দ শাকিলের সিডিউল ফাঁসিয়ে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন।

প্রডিউর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের শালিসি কমিটির কাছে পাঠানো অভিযোগ নামায় প্রযোজক উল্লেখ করেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে স্বপ্নীল শুটিং হাউজে তার প্রযোজিত ধারাবাহিক নাটক ‘ভাড়া বাড়ি বাড়া বাড়ি’র শূটিং ছিলো। নাটকটি পরিচালনা করছেন কামরুল হাসান ফুয়াদ। ওই দিন তানিয়া বৃষ্টি ছাড়াও শামীমা নাজনীন, সাজু খাদেম, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, আয়শা নাফিসা ও নান্নু মিয়ার সিডিউল ছিলো। সবাই উপস্থিত থাকলেও তানিয়া বৃষ্টি শুটিং সেটে আসেননি। এমনকি শুটিং ইউনিট থেকে বার বার তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিকাল ৩টার দিকে পরিচালকের মোবাইলে তিনি এসএমএস দিয়ে জানান, আজ তিনি শুটিং করতে পারবেন না। এতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পরিচালক কামরুল ইসলাম ফুয়াদও ডিরেক্টর গিল্ডে একই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে তানিয়া বৃষ্টি শুটিং করতে পারবেন না জানালে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভই করেননি। এছাড়া বিষয়টি পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিককে জানালে তিনিও তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এ ব্যাপারে তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিডিউল ফাঁসানোর কথা স্বীকার করে জানান, ওই দিন সকাল থেকে তার পেট ব্যাথা শুরু হয়। এরপর প্রচণ্ড ব্যাথার কারণে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এসএমএসের মাধ্যমে তিনি সকালেই জানিয়ে দেন তার শরীর অসুস্থ। এরপর পরিচালক একটু রেস্ট নিয়ে দেরি করে যেতে বলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়। ফলে শূটিং করা সম্ভব হয়নি।

অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর বলেন, ঘটনার দিন তানিয়া বৃষ্টি শুটিং স্পটে না আসায় নির্ধারিত কাজ করা সম্ভব হয়নি। সারাদিন তিনি দুইটি সিক্যুয়েন্স করতে পেরেছেন।