জুমবাংলা ডেস্ক : পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে কী আলাপ হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মূল ধারার গণমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তার কীভাবে মোকাবেলা করা হয় সেটা নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতে সঙ্গে কথা হয়েছে। ফ্রান্সে বেশ কিছু আইন আছে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ বিষয়গুলো দেখভাল করে। রাষ্ট্রদূত এমনও বলেছেন যে, কোনো ব্যক্তি যদি ফ্রান্সের মধ্যে ফ্রান্সের সরকারের বিপক্ষে কোনো অপতথ্য প্রচার করে এবং সে ক্ষেত্রে তার পেছনে যদি কোনো বিদেশী শক্তিও থাকে তাদেরকে রীতিমতো জেরা করার জন্য নিয়ে আসা হয়। এখানে তারা কোনো ছাড় দেয় না। তাদের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অপতথ্য খুঁজে বের করে সরকারের কাছে পেশ করে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো জানান, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রেগুলেশন যেমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করতে পারে, আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য নিয়ম-নীতি দরকার। আমিও এ বিষয়ে একমত। আইনের প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটি হচ্ছে বিষয়। কিন্তু নিয়ম-নীতির বাইরে পৃথিবীর কোনো দেশ নেই। সব দেশে আইন আছে। অপতথ্যের ব্যাপারে কারো কোনো ছাড় নেই।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো বা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ কীভাবে এই অপতথ্যকে মোকাবেলা করে সে অভিজ্ঞতা জানা ও বোঝা এবং আমাদের এখানে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ হয়েছে।
ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাম্প্রতিক ধর্মঘট ডাকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী কোয়াব সদস্যদের এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোয়াব নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছি, কথা বলেছি। তারা তাদের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। তখন আমি তাদের একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলেছি, আইনের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। ওটিটি প্লাটফর্ম সবগুলো চ্যানেলকে প্যাকেজ করে যা করছে এটা বেআইনি। এগুলো দেখার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুরের নকলা উপজেলার একজন সাংবাদিককে সাজা দেয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। একটি হচ্ছে তথ্য চাওয়ার অপরাধে তাকে সাজা প্রদান করা হয়েছে, অপরটি হচ্ছে অসদাচরণের দায়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। দুটি তথ্য পরস্পর বিরোধী। কোনটি সত্য সেটি এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। আমি চাই এটার একটা তদন্ত হোক এবং তদন্ত করে সত্যটা বের হোক।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর শোক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।