জুমবাংলা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মধুপুরের শফিকুল ইসলাম চীনের চায়না গোল্ড ধান আবাদে সফলতা পেয়েছেন। খরাসহিষ্ণু উচ্চফলনশীল চায়না গোল্ড ধান বছরে তিন বার চাষাবাদের উপযোগী।
শফিকুল চীন থেকে এই ধানবীজ সংগ্রহ করেন। পরে বোরো ও আউশ মৌসুমে আবাদ করেন। এতে বিঘাপ্রতি ৩৫ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে বলে জানা যায়। শফিকুলের বাড়ি উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের কুড়িবাড়ী গ্রামে।
জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি চীনে অধ্যয়নের সময় তার এক বন্ধুর কাছে জানতে পারেন, চায়না গোল্ড জাতের ধান প্রতি বিঘায় ৩৯ থেকে ৪০ মণ উৎপাদিত হয়। শুধু তা-ই নয়, বছরে তিন বার আবাদ করা যায় এই জাত। খরাসহিষ্ণু ও কম পরিচর্যার প্রয়োজন বিধায় চীনে ব্যাপকভাবে এই ধানের আবাদ করা হয়। পরে তিনি ওই বন্ধুর মাধ্যমে তিন কেজি চায়নাগোল্ড ধানের বীজ সংগ্রহ করেন।
গত বোরো মৌসুমে তিনি তিন বিঘা জমিতে ওই ধানের আবাদ করে বিঘাপ্রতি ৩৫ মণ ধান পেয়েছেন। ওই ধান পাঁচ থেকে ছয় দিন শুকিয়ে বীজ তৈরি করে পুনরায় আউশ মৌসুমে আবাদের জন্য জমি ও বীজতলা তৈরি করেন এবং পুনরায় আবাদ করেন। সেই জমিতেও বিঘাপ্রতি ৩৫ মণের বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম জানান, নতুন জাতের চায়না গোল্ড ধান আবাদে অতিরিক্ত কোনো পরিচর্যা করার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ সনাতন পদ্ধতি অবলম্বন করেই এই ধান আবাদ করা যায়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা তৈরি, সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা করা হয়েছে। মাত্র একবার সার প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রচণ্ড খরার মধ্যেও ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে।
স্থানীয় ধানচাষি নাইম জানান, একই জমিতে তিন বার চাষযোগ্য ধান আবাদের সফলতা দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই জাতের ধানবীজ সংগ্রহের জন্য আসছেন।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, ব্যক্তি উদ্দেগে সংগৃহীত চায়না গোল্ড ধান বোরো ও আউশ মৌসুমে আবাদে ফলন ভালো হয়েছে। আমন মৌসুমেও পর্যবেক্ষণ করা হবে। ফলন ভালো হলে বীজ সংগ্রহ করে উপজেলার প্রতিটি ব্লকে এই ধানের আবাদ বাড়ানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।