স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি, আধা-সরকারি এবং কর্পোরেশনের কর্মচারীরা শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক বিশাল সমাবেশ করেছেন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে কর্মচারীরা ১:৪ অনুপাতে ১২তম গ্রেডের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা স্কেলে নির্ধারণের জোর দাবি জানান।
তাদের দাবি— বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই দাবি বাস্তবায়ন করে গেজেট প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবু নাসির খান বলেন, ২০১৫ সালের পর সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়নি, অথচ গত ১০ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ‘বহুগুণ বৃদ্ধি’ পাওয়ায় কর্মচারীরা জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
দাবি অবিলম্বে আদায় না হলে দেশের প্রতিটি জেলায় শাটডাউন কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ঐক্য পরিষদ।
মো. ওয়ারেস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মহাসমাবেশে কর্মচারীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। জুনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি।
কর্মচারী নেতারা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



