স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০৬ সালে ব্রাজিলের পর প্রথমবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে নকআউটে ফ্রান্স। ১৯৮৬ সালে টুর্নামেন্টে শেষ ষোলো অন্তর্ভুক্তির পর থেকে প্রত্যেকবার নকআউটে খেলেছে তারা এবং উতরে গেছে তারা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্যে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে পোল্যান্ড পরীক্ষা দিতে নামছে ফরাসিরা।
ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড ৩৬ বছর পর প্রথমবার শেষ ষোলোতে উঠেছে। শেষবার তারা এই পর্যায়ে খেলেছিল ১৯৮৬ সালে। নকআউটে উঠতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে পোলিশদের। মেক্সিকোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর সৌদি আরবকে হারায় তারা, গ্রুপের শেষ ম্যাচ আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলে হারলেও গোল ব্যবধানে মেক্সিকানদের পেছনে ফেলে ফ্রান্সের মুখোমুখি লড়াই নিশ্চিত করেছে।
মানে দুই দলই শেষ ম্যাচ হেরে নকআউটে মুখোমুখি হচ্ছে। পরিসংখ্যান ফ্রান্সের পক্ষে থাকলেও পোল্যান্ডকে নিয়ে সতর্ক কোচ দিদিয়ের দেশম, ‘আজ, এমনকি সেরা দল হলেও যদি তারা তৈরি না থাকে, তাহলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।’ ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ও কোচ আরও বলেন, ‘সবগুলো খেলাই কঠিন, সব দল ভালো এবং প্রস্তুত। ভালো ভালো লিগে খেলে খেলোয়াড়রা। ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করা খেলোয়াড় আছে তাদের। এই দল যা করেছে তার জন্য সমীহ পেতে পারে। তারা এখানে আসার যোগ্য।’
পোল্যান্ডের সঙ্গে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত সাত ম্যাচে অপরাজিত ফ্রান্স, জয় তিনটি, ড্র চার ম্যাচে। তাদের শেষ হার ১৯৮২ সালের আগস্টে একটি প্রীতি ম্যাচে (০-৪ গোলে)। এনিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার দেখা হতে যাচ্ছে দুই দলের। প্রথমবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮২ সালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে, ৩-২ গোলে জিতেছিল পোল্যান্ড।
পোল্যান্ড ১৯৮৬ সালে শেষবার শেষ ষোলোতে খেলে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিল ৪-০ তে। একটি ব্যাপার কিন্তু তাদের অনুপ্রাণিত করতে পারে। তৃতীয়বার তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। আগের দুইবারই হার এড়িয়েছিল তারা। ১৯৭৪ সালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানোর পরের আসরে জার্মানির সঙ্গে করেছিল গোলশূন্য ড্র। এবার কি ফ্রান্সও একই পরিণতির সম্মুখীন হচ্ছে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।