স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর স্পিনের জাদুতে ঘায়েল হয়েছেন বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক ব্যাটার। অশ্বিন নিজেও ঘায়েল হয়েছেন এক জনের কাছে। ঘায়েল হয়েছেন জীবনের ২২ গজে। সঞ্চালক সানিয়া মির্জা বার করেছেন অশ্বিনের প্রেমপর্বের সেই কাহিনি।
আইপিএলে ভাল ছন্দে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের অভিজ্ঞ অফ স্পিনার। একটি অনুষ্ঠানে সানিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি অশ্বিন। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে তাঁদের সম্পর্কের শুরুর কথা। স্কুলে সহপাঠী ছিলেন দু’জনে। ছাত্রাবস্থায় পরিচয় হলেও তাঁরা সম্পর্কে জড়িয়েছেন অনেক বড় হওয়ার পর। প্রীতি বলেছেন, ‘‘আমাদের পরিচয় স্কুলে পড়ার সময়। তখন থেকেই অশ্বিন আমাকে খুব পছন্দ করত। গোটা স্কুল সেটা জানত। স্কুল ছাড়ার পর ক্রিকেট নিয়ে আরও ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল অশ্বিন। নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আমাদের। কারও জন্মদিনে বা কোনও অনুষ্ঠানে হয়তো দেখা হত।’’ কী ভাবে আবার আপনাদের যোগাযোগ নিয়মিত হল? প্রীতি বলেছেন, ‘‘পরে বড় হওয়ার পর আবার আমাদের দেখা হয়। তখন আমি একটি সংস্থায় কাজ করতাম। চেন্নাই সুপার কিংসের অ্যাকাউন্টস দেখভাল করতাম। তখন হঠাৎ করেই ছ’ফুট লম্বা এক জন মানুষকে দেখলাম। যাকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে চিনতাম।’’
অশ্বিনের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছিলেন প্রীতি। সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে সানিয়ার সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে। প্রীতি বলেছেন, ‘‘এক দিন আমাকে ক্রিকেট মাঠে নিয়ে গিয়ে সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছিল। বলেছিল, ‘তোমাকে আমি সব সময় ভীষণ পছন্দ করি। গত ১০ বছরে আমার পছন্দ একটুও বদলায়নি। আমরা এখন বড় হয়েছি। এ বার কি অন্য কিছু ভাবতে পারি?’’’ সানিয়া ছাড়াও অশ্বিন-জায়ার সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন বেদা কৃষ্ণমূর্তি এবং দানিশ শেঠ।
স্বামী অশ্বিন কেমন? প্রীতি বলেছেন, ‘‘হয়তো সকালে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হল। পরে ভুলে গেলাম কী নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। তার পর থেকে হয়তো মজা করে আমাকে কোনও নাম ধরে ডাকতে শুরু করল। আবার নিজেই এক সময় ও ভাবে ডাকা বন্ধ করে দেয়।’’ প্রীতি বোঝাতে চেয়েছেন, রেগে গেলেও তাড়াতাড়ি মাথা ঠান্ডা হয়ে যায় অশ্বিনের। মজার মাধ্যমে পরে মিটিয়েও নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।