প্রচণ্ড ব্যথায় হামাগুড়ি দিয়ে ফিজিওর ঘরে গিয়েছিলেন অশ্বিন

স্পোর্টস ডেস্ক : সিডনি টেস্টের পঞ্চম দিনে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে ভারতের নিশ্চিত হার বাঁচিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পিঠে অসহ্য ব্যথা নিয়ে তাকে খেলতে হয়েছিল। অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি এবার জানালেন, ম্যাচের আগের দিন রাতে কী অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অশ্বিনকে। ফিজিওর ঘরে তাকে যেতে হয়েছিল হামাগুড়ি দিয়ে! সেই অসহ্য ব্যাথা নিয়েই তিনি পঞ্চম দিনে ভয়ংকর অজি পেসারদের সামনে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন।

ভারতের এক সংবাদপত্রের কলামে প্রীতি লিখেছেন, ‘বহুদিন ধরে ওকে ব্যথা সহ্য করতে দেখছি। কিন্তু এবার যা দেখলাম, অতীতে কোনোদিন তা হয়নি। ঠিক করে চলাফেরা করতে পারছিল না অশ্বিন। মাটিতে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। একবার বসলে উঠতে পারছিল না। শরীর বাঁকাতে পারছিল না। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী ভাবে পরদিন ও মাঠে নামবে। ওকে একবার বলেছিলাম, ছেড়ে দাও। অশ্বিন উত্তর দিয়েছিল- আমাকে খেলতেই হবে।’

প্রীতি জানিয়েছেন, চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগে ওয়ার্ম-আপের সময়েই সমস্যা হয়েছিল অশ্বিনের। ম্যাচে বল করার পর থেকে ব্যথা বাড়তে থাকে। শেষে হোটেলে ফেরত আসার পর ব্যথায় কাতরাতে থাকেন অশ্বিন। ফিজিওর কাছে গেলেও লাভ হয়নি। পঞ্চম দিন সকালের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে প্রীতি লিখেছেন, ‘ওকে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সে বলছিল, সকালে হামাগুড়ি দিয়ে ফিজিওর ঘরে গিয়েছিল! সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না। আমি ভয় পেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- কীভাবে তুমি ব্যাট করবে? ও বলেছিল,- জানি না। মাঠে আমাকে যেতেই হবে। তারপরে ভেবে দেখব। ও বেরিয়ে যাওয়ার পরে ভাবছিলাম, এই হয়তো দলের কেউ ফোন করে বলবে ওকে স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

ব্যথায় কাতর অশ্বিনকে ড্রেসিংরুমে ফেরানোর পূর্ণ সুযোগ নিতে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। তারা ক্রমাগত অশ্বিন বাউন্সার বা শরীর লক্ষ্য করে বল করা যাচ্ছিল। উইকেটের পিছন থেকে একটানা স্লেজিং করে যাচ্ছিলেন টিম পেইন। দুই ক্রিকেটারের বাক্যুদ্ধ নিয়ে প্রীতি লিখেছেন, ‘অশ্বিনকে উত্তর দিতে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ও সাধারণত এরকম করে না। তাহলে কি ফোকাস হারাচ্ছে? নাকি ব্যথা আরও বেড়েছে বলে সহ্য করতে পারছে না। মনে মনে প্রার্থনা করছিলাম, অ্যাশ, উত্তর দিও না। কিন্তু হনুমার সঙ্গে তামিলে যখন কথা বলছিল, তখনই বুঝেছিলাম ও শান্ত আছে।’