জুমবাংলা ডেস্ক: জোয়ারে নদীতে জাল ফেলে জেলে। ভাটিতে তা তোলা হয়। ইলিশ মৌসুমে জালে ওঠছে ইলিশ। সেই মাছ নিয়ে সন্ধ্যায় হাজির হন জেলেরা। কালের কণ্ঠের প্রতিবেদক স্বপন কুমার ঢালী-এর প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
সেখানে খুচরা এবং পাইকারিদের ভিড়। নদীর তাজা ইলিশ কিনতে প্রতিদিনই বাজারে সমাগম হয়।
উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের সেতুর ঢালে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে এই ইলিশের বাজার। সন্ধ্যার পর বাজারটি জমজমাট হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেতাগী পৌর শহরের ‘টাউন ব্রিজ’ নামে পরিচিত সেতুর পশ্চিম পাড়ে বিকেল থেকে নদীর ইলিশ, আইড়, তপসী ও চিংড়ি মাছ নিয়ে জেলেরা আসতে শুরু করেন। তাঁরা বাঁশের ডালায় ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসেন। দর দাম করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ কেনেন ক্রেতারা।
পৌর শহরের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি প্রায়ই সন্ধ্যার পর মাছ কিনতে শহরের ঢালে আসি। এখানে তাজা ইলিশ পাওয়া যায়। আজও (মঙ্গলবার) দুটি ইলিশ কিনেছি। দেশের অন্যান্য নদীর মাছের তুলনায় বিষখালী নদীর মাছ সুস্বাদু। ’
পৌর শহরের কলেজ এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন পাঁচটি ইলিশ কিনেছেন। যার ওজন হয়েছে তিন কেজি। তিনি বলেন, ‘তাজা বড় ইলিশ দেখে কিনতে ইচ্ছা হল। ’
জানা গেছে, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম। স্থানীয় নদ-নদীতে জেলেদের জালে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে। সাধারণত আষাঢ় থেকে কার্তিক-অগ্রাহায়ণ মাস পর্যন্ত বিষখালী নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। প্রায়ই দুই তিনটি বড় ইলিশ পাওয়া যায়।
বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের বাসিন্দা জেলে মোশারেফ হোসেন বিষখালী নদীতে ২০ বছর ধরে নিয়মিত ইলিশ মাছ ধরেন। তিনি বলেন, বিষখালী নদীতে পাঁচ শতাধিক জেলে আছেন। সন্ধ্যায় জেলেরা মাছ নিয়ে বেতাগী পৌর শহরের সেতুর ঢালে মাছের বাজারে চলে যায়। সেখানে আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে কেনাবেচা করেন। আবার জেলেরা নিজেরাও মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে বসেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল গাফ্ফার বলেন, আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। এ সময় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। এ বছর নদ-নদীতে বড় আকারে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ ও দেশীয় মাছসহ ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৮৯২ টন বেশি উৎপাদন হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার ৩১৮ টন।
সৌদির খুরমা খেজুর চাষ ও চারা বিক্রি: তিন বছরের মাথায় স্বাবলম্বী সোলায়মান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।