যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার তথ্য চুরির উদ্দেশ্যে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে হ্যাকাররা। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এ বিষয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সাইবার অপরাধীরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে ‘ইমার্জেন্সি ডেটা রিকোয়েস্ট’ (ইডিআর) বা জরুরি ভিত্তিতে তথ্যপ্রাপ্তির অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করছে।
ইডিআর একটি আইনি পদ্ধতি, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় আদালতের অনুমোদন ছাড়াই জরুরি তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানানো হয়। সাধারণত সংকটময় বা অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহৃত হয়। তবে এখন সাইবার অপরাধীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভুয়া ইডিআর পাঠিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিচ্ছে এবং গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
এফবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে অপরাধমূলক অনলাইন ফোরামে ভুয়া ইডিআর–সংক্রান্ত পোস্টের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। হ্যাকাররা সরকারি ই–মেইল ঠিকানা হ্যাক করে এসব ভুয়া ইডিআর পাঠাচ্ছে। যার ফলে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের তথ্য বিপদের মুখে পড়ছে।
লাপসাস নামের একটি হ্যাকিং গ্রুপ প্রথমবারের মতো এই কৌশল ব্যবহার করে তথ্য চুরি করেছিল। এর পর থেকে অন্যান্য অপরাধী চক্রও অনলাইনে ডটগভ (.gov) ডোমেইনের সরকারি ই–মেইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এবং মিথ্যা ইডিআর–সম্পর্কিত নির্দেশনা দিচ্ছে।
এ ধরনের প্রতারণা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের কম্পিউার ব্যবস্থা তৃতীয় পক্ষের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি ইডিআর যাচাই ও তথ্যপ্রাপ্তির জন্য অনুরোধকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে এফবিআই। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ জনগণকেও তাদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে সচেতন থাকতে এবং কোনো ধরনের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন বা তথ্য চুরির চেষ্টা নজরে এলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।