জুমবাংলা ডেস্ক: বগুড়ার গাবতলীতে প্রথমবারের মতো ‘ব্লাক রাইস’ ধান চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। এটি ‘কালো ধান’ নামে পরিচিত। এবছরে ব্লাক রাইস ভাল ফলন হওয়ায় কৃষককের মুখে ফুটেছে কালো ধানের হাসির ঝিলিক।
কালো ধান চাষ করে এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মহিষাবানের ধোড়া-মহিষাবান গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে কৃষক আশরাফুল আলম। এলাকার অনেকেই তার ধান ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন।
বাজারে দাম ও চাহিদা বেশি হওয়ায় আগামী দিনে কালো ধান চাষ করতে কৃষকেরা ইতোমধ্যে তথ্য বা পরামর্শ নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নতুন ধানের এ জাত নজর কেড়েছে সবার।
রোগবালাই কম ও উচ্চ ফলনশীল এ জাতের ধান নিচু জামিতে চাষ করা সম্ভব বলে জানান কৃষকেরা। এ জাতের ধানের দাম ও ভালো ফলন হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ফলে চাষাবাদ বাড়বে বলে আশা কৃষকদের।
কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, অন্যধানের মতো এ জাতের ধানের গাছ লম্বা সবুজ হলেও ধানের শীষ ‘কালো’। গাছের ডগায় দুলছে কালো ধানের শীষ। কৃষকরা ব্লাক রাইস দেখে মুগ্ধ ও উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের মনে এখন নানা কৌতুহল সৃষ্টি করছে।
কৃষক আশরাফুল আলম জানান, ২৫ শতক জমিতে ভিয়েতনাম থেকে বীজ সংগ্রহ করে ব্লাক রাইস চাষ করেছি। আগামী দিনে আরো দু’বিঘা জমিতে এ ধান চাষ করবো। এধান চাষে সার-কীটনাশক কম লাগে। ফলন অন্য ধানের চেয়ে ভাল। স্থানীয় চাষিরা এ ধান চাষেল জন্য বীজ নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলেও জানান তিনি।
আশরাফুল ছাড়াও গাবতলী পৌরসভা সন্ধাবাড়ী গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামও কালো ধানের চাষ করেছে। এভাবেই গাবতলীতে ব্লাক রাইস চাষ বাড়বে বলে আশঅবাদ ব্যক্ত করছেন কৃষি বিভাগ।
ব্লাক রাইস অনেক পুষ্ঠিগুণ সমৃদ্ধ ও অনেক ঔষধী গুণাগুণ থাকায় ব্লাক রাইসকে ‘ওয়ার্ল্ড সুপার ফুড’ বলা হয়। ধনীদেশগুলোতে এ ধানের চাহিদা রয়েছে। এ ধান একটু মোটা ও গোল্ডেন ব্লাক রাইস চিকন হয়। এছাড়াও কালো ধানে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি এক্সিডেন্ট থাকায় ধানের চাল ডায়াবেটিস ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গাবতলী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম কবির জানান, গাবতলীতে কয়েকজন কৃষক ব্লাক রাইস বীজ সংগ্রহ করে নতুন এ কালো ধান চাষ করেছেন। কৃষক চাইলে এ ধান চাষে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিতে পারেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান জানান, মহিষাবানের আশরাফুল ব্লাক রাইস চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ব্লাক রাইস চাষ করলে অবশ্যই কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হবে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আশরাফুলের ধান ক্ষেত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, কালো ধান চাষে সার-কীটনাশক ও পরিচর্যা কম লাগে। কালো ধান নতুন জাত হওয়ায় কৃষকের মাঝে সাড়া ফেলেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ জানান, গাবতলীতে রোপা আমন ধান ও শীতকালীন সবজি চাষের পাশাপাশি ব্লাক রাইস চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। প্রতি বিঘায় ১২ থেকে ১৫ মন ধান ফলন হয়ে থাকে।
১ হাজার হাঁসে ১ লক্ষ টাকা লাভ, হাঁস পালনে ঝুঁকছেন বেকার যুবকেরা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।