জুমবাংলা ডেস্ক : সাত বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী শিশুর দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সেই দাদার নাম মুন্তাজ আলীকে (৫৫)। চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার নদাগা হরিশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দর্শনা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এর আগে একই দিন বিকেল ৫টায় শিশুটির মা শ্বশুর মুন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নদাগা হরিশপুর গ্রামের মুন্তাজ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের উজলপুর বিলপাড়ার আছমা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আছমা বেগম বিয়ের পর থেকে স্বামী হাফিজুলের সাথে শ্বশুর মুন্তাজের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। বসবাসের কয়েক বছর পর থেকে শ্বশুর পুত্রবধূ আছমাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতেন। সেসময় তিনি বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে, স্বামী হাফিজুল তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি উজলপুর বিলপাড়ায় এসে বসবাস শুরু করেন। তবে হাফিজুল-আসমা দম্পতির সাত বছরের মেয়ে মাঝেমধ্যে হরিশপুর গ্রামে দাদা-দাদির বাড়িতে বেড়াতে যেত।
গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) শিশুটি তার দাদা বাড়িতে বেড়াতে যায়। তার পরদিন মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে শিশুটির দাদি পুকুরে শামুক তুলতে গেলে দাদা মুন্তাজ তার নাতনিকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর নাতনিকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করেন ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। কিন্তু বুধবার দুপুরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে সব বলে দেয়। এঘটনা শুনে শিশুটির মা আছমা একইদিন বিকেল ৫টায় মেয়েকে নিয়ে দর্শনা থানায় শ্বশুর মুন্তাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে বুধবারই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুন্তাজকে আটক করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির মা শ্বশুরের বিরুদ্ধে বুধবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত হরিশপুর গ্রামের খোকাই মন্ডলের ছেলে ওই শিশুটির দাদা মুন্তাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের শরীরের ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভিকটিম শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষাসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।