জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথম দিনে সবজি ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। ঈশ্বরদীর কৃষকেরা বলছেন, কৃষি স্পেশাল ট্রেনের কোনো খবর তারা জানেন না। এ খবর পৌঁছায়নি কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের কাছেও।
প্রচার-প্রচারণা না হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জানায় পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় স্পেশাল ট্রেন চালুর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের (রাজশাহী) চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আমরা মাত্র দুদিন আগে জেনেছি কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ট্রেন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। প্রচারণা কম হওয়ায় প্রথমদিন পণ্য কিছুটা কম হলেও আগামীতে পণ্য পরিবহন বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
রেল কর্তৃপক্ষ যায়, কৃষি পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও রাজধানী ঢাকাসহ তার আশেপাশের জেলাগুলোতে ১৬টি সবজি উৎপাদিত অঞ্চল থেকে কম খরচে কাঁচা পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সড়কপথে মাল পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলের ১৫টি অঞ্চল থেকে খুব কম খরচে ঝামেলা মুক্তভাবে রেলওয়ে এই বিশেষ ট্রেন কৃষিপণ্য পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ট্রেনে সবজি পরিবহনে খরচ কম হওয়ায় সবাইকে রেলপথে সবজি পরিবহনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ ও ঈশ্বরদীর সচেতন মহল বলছে এবার বৃষ্টিতে এই অঞ্চলের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই এই অঞ্চল থেকে কোনো ব্যবসায়ী কাঁচাপণ্য বা সবজি নিয়ে যাচ্ছেন না। তবে সড়ক পথে পণ্য পরিবহনে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক গুণ। তাই কম খরচে রাজধানী ঢাকাতে কৃষিপণ্য সরবরাহের জন্য এখন থেকে প্রতিদিন ট্রেনটি চলাচল করবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এই বিশেষ ট্রেনে সবজি বহন করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে পারবেন তারা। তবে কৃষিপণ্য উৎপাদিত স্থান থেকে স্টেশনের দূরত্ব একটি সমস্যা। একই সঙ্গে একটি পণ্য নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে দুইবার পরিবহন লাগছে। আবার কাঁচা সবজি ট্রেনের বন্ধ কামরায় নেওয়ার ফলে কতটুকু ভালো থাকবে এবং যথা স্থানে পণ্য পৌঁছাতে ঝামেলা মনে করছেন তারা।
পাবনা ঈশ্বরদী জংশনের পার্সেল সহকারী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, কৃষকের পণ্য কম খরচে রাজধানী ঢাকাসহ সব স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে কৃষিপণ্য যেমন আনতে পারবেন আবার এই অঞ্চলের ১৬টি স্থান থেকে কৃষিপণ্য খুব সহজে নিতেও পারবেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই বিশেষ ট্রেন সেবা চালু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে পরিবহণ খরচের হাত থেকে বেঁচে যাবে ব্যবসায়ীরা। আর কম মূল্যে সাধারণ ক্রেতারা পণ্য কিনতে পারবেন। আমরা কৃষকদের আহ্বান জানাবো আপনারা ঝামেলা মুক্তভাবে সবজিসহ সব ধরনের কৃষি পণ্য আনা নেওয়ার জন্য এই ট্রেন ব্যবহার করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।