আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব ও মুসলিম নভোচারী এবং গবেষকরা কিভাবে মহাকাশ সেক্টরের গর্বিত অংশীদার হয়ে উঠছেন, তার মন-মাতানো বর্ণনা দিলেন আমিরাতি আইকন ও প্রথম মুসলিম নভোচারী নোরা আল-মাতরুশি। বললেন, ইতিহাস শুধু বইয়ের পৃষ্ঠায় কালো অক্ষরের মাঝে বন্দি থাকে না, সময়ের বাস্তবতাকেও মেলে ধরতে পারে। খবর খালিজ টাইমস
তার পরিষ্কার উচ্চারণ—‘মহাকাশশিল্পে মুসলিম বিজ্ঞানীদের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। আমরা এখন আর প্রস্তরযুগে ফিরে যেতে পারি না।
জ্ঞানই শক্তি এবং আকাশটাই তার সীমা। বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আবিষ্কারে গৌরবময় ঐতিহ্যের সুবাদে মুসলিম জাতি আবার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসতে পারে। আমাদের হারানোর কিছুই নেই। জয় করার জন্য আছে সারা পৃথিবী।’
দুবাইয়ে বিশ্ব নারী ফোরামের অনুষ্ঠানে ২৬ নভেম্বর তিনি বলেন, ‘যেসব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব, সেসব চ্যালেঞ্জ জয় করতে অনুপ্রাণিত করে আরব আমিরাত। আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবনেও দিচ্ছে অফুরান উত্সাহ। নিজেকে এগিয়ে নিতেও দিচ্ছে অফুরান অনুপ্রেরণা। আরব নভোচারীরা মহাকাশ সম্পর্কে জানতে এরই মধ্যে অনেক উপকরণ তৈরি করতে পেরেছেন।
আমাদের পূর্বসূরিরাও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও বৈজ্ঞানিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাদের এসব অসামান্য অর্জন শুধু আমাদের গর্বের ব্যাপারই নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। সম্ভবত এ কারণেই আরব আমিরাত স্বল্প সময়ের মধ্যেই মহাকাশশিল্পে বৈশ্বিক নেতায় পরিণত হতে পেরেছে।’
মাতরুশি বলেন, “আমাদের পাঠানো মহাকাশ যান ‘হোপ প্রুব’ এরই মধ্যে লোহিত গ্রহ মঙ্গলের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শুরু করেছে। এই সাফল্য আরববিশ্ব ও মানবতার জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন।
আমরা এরই মধ্যে অনেক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছি। বানিয়েছি মহাকাশ রোভার, যা চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, আরববিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী হতে চলেছেন নোরা আল-মাতরুশি। এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। চলতি মাসের শুরুতে নাসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে এই স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তিনি এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) মিশনের জন্য যোগ্য এবং সব কিছু ঠিক থাকলে আর্টেমিস চন্দ্র মিশন, এমনকি মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।