জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের দিল্লিস্থ প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া সভাপতি গৌতম লাহিড়ী প্রণীত ‘প্রণব মুখার্জী : রাজনীতির ভেতর বাহির – প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ গবেষণা গ্রন্থটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) দিল্লির আইটিসি হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বইটি তুলে দেন গৌতম লাহিড়ী।
এবার বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা সংস্থা আল হামরা প্রকাশনী থেকে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ভারতীয় প্রখ্যাত সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ীর ‘প্রণব মুখার্জী : রাজনীতির ভেতর বাহির : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ বইটি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোড়ক উন্মোচন চত্বরে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বইটির প্রকাশক খান মুহাম্মদ মুরসালীন জানান, লেখক গৌতম লাহিড়ী দীর্ঘ চার দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত। তিনি ভ্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে। বাংলাদেশ সফর করেছেন বহুবার। প্রথম বাঙালি হিসেবে গৌরব অর্জন করেছেন ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাবের তিন তিনবার সভাপতিত্ব করার। ভারতের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা প্রণব মুখার্জীর রাজনৈতিক জীবন অতি নিকট থেকে দেখেছেন। বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় সাংবাদিকতা করেন। ভারতের প্রথম সারির টেলিভিশনের বিশেষজ্ঞ। ভাষ্যকার ছিলেন বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার। পেয়েছেন ভারতের পার্লামেন্টে বিশিষ্ট সাংবাদিকের মর্যাদা। ছিলেন ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
বইটি মূলত ভারত-বাংলাদেশের দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়ে লেখা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহামুদ। সে সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে শুরু করে ক্রান্তিলগ্নে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং দেশটির বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জী পাশে ছিলেন। বিশেষ করে প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন প্রণব মুখার্জী। ১-১১ এর সময়ও পাশে ছিলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়ও তার ভূমিকা ছিল।
রাজনীতি সম্পর্কে যারা আগ্রহী তাদের বিশেষভাবে বইটি পড়ার আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।