জুমবাংলা ডেস্ক : শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত রুগ্ন শিল্পগুলির সরকার ঘোষিত এক্সিট সুবিধা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন রুগ্নশিল্পের মালিকরা।
মঙ্গলবার বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুগ্নশিল্পের পুনর্বাসন সংক্রান্ত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় শিল্প মালিকরা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রুগ্নশিল্পের পুনর্বাসন ও দায়দেনা নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছিলো।
পরবর্তিতে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারখানার দায়দেনা অবসায়ন প্রকল্পে সরকার সার্কুলার জারি করেছে, কিন্তু ব্যাংকের অসহযোগিতার কারনে এক্সিট নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তারা। এসকল শিল্প রুগ্ন হলেও, ব্যাংকগুলোর মালিকদের খেলাপি দেখিয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। এতে নতুন ব্যবসায়ীক উদ্যোগও গ্রহণ করতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাচ্ছেন রুগ্নশিল্পের মালিকরা।
কমিটির চেয়ারম্যান ছাদেক উল্ল্যাহ চৌধুরী জানান রুগ্নশিল্পের পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে মুন্সেফ কমিটি গঠিত হয়েছিলো। রুগ্ন শিল্প পুনর্বাসনে ১০০ কোটি টাকার তহিবল গঠন করেছিলো তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার। পরে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে নতুন করে রুগ্নশিল্পের ডাটাবেজ তৈরি হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে রুগ্ন শিল্পের এক্সিট সু্বিধা বাস্তবায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের সাথে বৈঠকে বসার আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজনু বলেন, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস এর ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু রুগ্নশিল্পগুলি মালিকগণ এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সভায় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, পরিচালক আবু মোতালেব, হাফেজ হাজী হারুন অর রশিদ, কাওসার আহমেদ, সাবেক পরিচালক নাজিবুর রহমান, কমিটির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পাঠ করাতে অসম্মতি প্রেসিডেন্টের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।