আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাভিশ কুমার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ভুয়া চিঠি প্রকাশিত হওয়ায় গতকাল বুধবার নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এ নিন্দা জানান তিনি।
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের রায় নিয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে লেখা নরেন্দ্র মোদির একটি ভুয়া চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন রাভিশ কুমার।
টুইট বার্তা তিনি লিখেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের ভুয়া এবং বিদ্বেষপরায়ণ সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, সম্প্রদায়গুলোকে বিভক্ত করার, বৈষম্য তৈরি করার এবং ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের বন্ধুত্বকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ীদের তীব্র নিন্দা জানাই।’
নিজের টুইট বার্তার সঙ্গে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের একটি বিবৃতিও যুক্ত করে দেন তিনি। বিবৃতিতেও এই চিঠিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশনের নজরে স্থানীয় গণমাধ্যমের একটি সংবাদ এসেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন। এই চিঠি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। জনপরিসরে ভারত সম্পর্কে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রচার করার এই অপচেষ্টা অত্যন্ত গর্হিত ও অনুচিত।
ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে একটি ভুয়া চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সেই চিঠিটি অযোধ্যা রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন বলে দাবি করা হয়। তবে সেটিকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দীর্ঘদিনের বিতর্কিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলার রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের বিতর্কিত ২ দশমিক ৭৭ একর জমি মন্দির নির্মাণের জন্য তুলে দিতে হবে সরকারি ট্রাস্টের হাতে এবং মুসলিমদেরকে মসজিদ নির্মাণের জন্য শহরের ‘উপযুক্ত’ ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।