জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোনার মদনে এক প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে সুদের রমরমা ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সুদের টাকা পরিশোধ হলেও টাকার চেক হস্তান্তর না করেই টাকা উত্তোলন করে আসছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সুদের টাকা পরিশোধ হলেও চেক হস্তান্তর না করেই টাকা উত্তোলন করে আসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আরজু মিয়ার স্ত্রী আনন্দ আক্তার ইউএনও ও ভারপ্রাপ্ত কমান্ডারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, উপজেলার নায়েকপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরজু মিয়ার স্ত্রী মোছা. আনন্দ আক্তার পারিবারিক কাজের জন্য উপজেলার মনিকা পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার চেকবই জমা দিয়ে ১ লাখ টাকা সুদে নেন। এতে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ২ বছরে সুদে আসলে পরিশোধ হবে। কিন্তু ২ বছর পেরিয়ে ৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর চেকবই ফেরত পাচ্ছেন না। চেক বই ফেরত চাইলে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি দেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে এ কাজে কোনোভাবেই জড়িত হতে পারে না। বিষয়টি আমরা দেখবো।
প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা আরজু মিয়ার স্ত্রী মোছা. আনন্দ আক্তার খালেক মিয়াকে নিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা সুদে নেয়। এখন পর্যন্ত তার টাকা পরিশোধ হয়নি। টাকা দেবে বলে টালবাহানা করছে। বিষয়টি আরো জানতে খালেক মিয়ার কাছে যেতে বলেন।
সোনালী ব্যাংক মদন শাখার ব্যবস্থাপক নিরাময় সরকার জানান, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাংক হিসাবটি লিয়েন করা হয়েছে। ভাতাভোগী ছাড়া কেউ টাকা তুলতে পারবেন না।
ইউএনও বুলবুল আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।