আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, চলমান রাজনৈতিক সংকটের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে প্রভাবশালীদের সঙ্গে সংলাপ চলছে। সাধারণত দেশটির সামরিক বাহিনীকে বোঝাতে ‘প্রভাবশালী গোষ্ঠী বা এস্টাবলিশমেন্ট’ এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়। খবর ডন
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগে পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রস্তাব সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খান এ মন্তব্য করেন। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া নভেম্বরে অবসরে যাবেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক প্রশ্নের জবাবে শাহবাজ শরিফ জানান, এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। কারণ, সংবিধানের আলোকে এ ধরনের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে।
নতুন নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফা লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেছেন ইমরান খান। রোববার (৩০ অক্টোবর) লংমার্চ চলাকালীন দেওয়া ভাষণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন। সামরিক বাহিনীর কথিত নৈকট্য পেতে তাকে ‘বুট পলিশার’ বলে মন্তব্য করেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
লংমার্চে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ইমরান খান জানান, সংলাপের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে কোনও প্রস্তাব পাঠাননি। শাহবাজ শরিফকে উদ্দেশ করে পিটিআই চেয়ারম্যান জানান, তার কি এমন ক্ষমতা আছে যে তিনি সংলাপের প্রস্তাব দেবেন।
সামরিক বাহিনী ও শাহবাজ শরিফের মধ্যকার বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত করে ইমরান খান এসব কথা বলেন। তিনি জানান, তার একমাত্র দাবি নতুন নির্বাচন এবং সঠিকভাবে আইনের বাস্তবায়ন।
ক্ষমতায় আসতে সামরিক বাহিনীর কাউকে কখনও সাহায্যের অনুরোধ করেননি বলে দাবি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসেন। জনগণকে তাদের নেতা বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিতে এখনও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তিনি জনগণের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।