জুমবাংলা ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনে চলমান সহিংসতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব এড়াতে যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই মোবাইল ইন্টারনেট (ফোর-জি) বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল আছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দেশব্যাপী সহিংসতা এবং ছয়জনের মৃত্যুর দিন সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
মোবাইল অপারেটর ও সংশ্লিষ্টরা জানান, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার পাশাপাশি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন উপায়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফোরজি বন্ধ থাকায় ফেসবুকে ছবি বা ভিডিও আপলোড কিংবা লাইভ করা যায় না।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনা পেলে এক সেকেন্ডের মধ্যেই নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিকভাবেই ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজস্ব জ্যামার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত কোনো অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জ্যামার ব্যবহার করে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশাপাশি নীলক্ষেত, শাহবাগ, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন ক্যাম্পাসে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে একটি মোবাইল ফোন অপারেটর থেকে জানা গেছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।
এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।