বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: চীনের প্রযুক্তিগত ও সামরিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নতুন রপ্তানি নীতি চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে দেশটির চিপ-সংক্রান্ত কোনো সরঞ্জাম রপ্তানি করা যাবে না চীনে। এতে বেইজিংয়ের সার্কিট শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। গত শুক্রবার বাইডেন প্রশাসন এ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করে।
বিশ্নেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরঞ্জাম রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে বেইজিং বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে যাবে সার্কিট শিল্পে। খবর আলজাজিরার।
এই নীতি ১৯৯০-এর দশকের পর এই প্রথম চীনে প্রযুক্তি রপ্তানিতে মার্কিন নীতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। এটি কার্যকর হলে বড় ধরনের সংকটে পড়বে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো; যেসব প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিপ ডিজাইনারদের মাধ্যমে কারখানা পরিচালনা করে আসছে।
এদিকে, এই ধরনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে চীন। এটিকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিয়মের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে বেইজিং।
শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আধিপত্য ধরে রাখতে এবং চীনের কোম্পানিগুলোকে পেছনে ফেলতে রপ্তানি নীতির অপব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, এটি শুধু চীনা কোম্পানিগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থই ক্ষতি করবে না, আমেরিকান কোম্পানিগুলোকেও প্রভাবিত করবে। এর মাধ্যমে চীনের অগ্রগতি দমানো যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জিম লুইস বলেছেন, মার্কিন এসব পদক্ষেপ চীনের চিপ শিল্পকে কয়েক বছর পিছিয়ে দেবে। তা ছাড়া এটি শীতল যুদ্ধ আরও প্রকট করবে। বেইজিং সার্কিট তৈরি বন্ধ করবে না। তবে মার্কিন এই নীতি সত্যিই তাদের অগ্রগতি ধীর করে দেবে।
এর আগে চলতি বছরের আগস্টে চীনে চিপ নির্মাণের যান্ত্রিক সরঞ্জাম পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি আলোচনায় আসে। স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের তথ্য সংরক্ষণের জন্য ন্যান্ড চিপ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।