কঙ্গোর রেইনফরেস্টে দশ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের বাস রয়েছে। নদী ও অরণ্য একসাথে পাশাপাশি মিলে অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করেছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস হিসেবে কঙ্গোর রেইন ফরেস্টের খ্যাতি রয়েছে। সেখানে সারা বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বলে রেইনফরেস্ট নামে পরিচিত।
পৃথিবীতে রেইন ফরেস্টের অবস্থান সাধারণত নিরক্ষীয় অঞ্চলে হয়ে থাকে। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেইনফরেস্ট হচ্ছে কঙ্গো রেইনফরেস্ট। ক্যামেরুন সহ ছয় দেশে ছড়িয়ে রয়েছে কঙ্গো রেইনফরেস্ট। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে বেশি অংশে অবস্থিত।
সবথেকে খারাপ বিষয় হচ্ছে এ বনভূমির বেশিরভাগ অংশ নি:শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। ১০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে এখানে। ৪০০ প্রজাতির স্তন্যপ্রাণী, ৭০০ প্রজাতির মাছ, ১০০০ প্রজাতির পাখি এখানে পাওয়া গেছে।
বানর, শিম্পাঞ্জি, গরিলা সহ নানা প্রজাতির প্রাণী এখানে সবথেকে বেশি পাওয়া যায়। এখানে ওকাপি নামক এক অদ্ভুত প্রাণীর বাস রয়েছে। এরা এমন প্রজাতির উদ্ভিদ খেতে পারে যা মানুষের জন্য বিষাক্ত। বিশেষ চিতা বাঘ রয়েছে যা মাংস খেতে পছন্দ করে।
বড় আকারের বিড়াল এখানে পাওয়া যায় যা বানর ও সাপ খেয়ে বেঁচে থাকে। এখানে সংকটাপন্ন বানর প্রজাতির বাস রয়েছে। কঙ্গোর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ভঙ্গুর। এজন্য এ বিশেষ রেইন ফরেস্টের তেমন যত্ন নেওয়া হচ্ছে না এবং মানুষ বন্যপ্রাণীর মাংসের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
বিভিন্ন কোম্পানি এখানে রাস্তা তৈরি করে দেওয়ায় শিকারীরা গভীর অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে এ ফরেস্টে বাস করা বিভিন্ন প্রাণীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিষয়টি। শিকারিরা এখানে হাতির জন্য ফাঁদ পেতে রাখে।
হাতির দাঁতের দাম অনেক বেশি বিধায় হাতি শিকার করা হয় এবং ফলশ্রুতিতে বনের মধ্যে হাতির সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে। এখানে এরকম জায়গাও রয়েছে যেখানে এখনো পর্যন্ত মানুষের পায়ের ছাপ পড়েনি এবং সূর্যের আলো প্রবেশ করে না।
এখানে লম্বা আকৃতির গাছ পাওয়া যায়। সেগুন গাছের কাঠ এর চাহিদা আছে বিধায় তা কেটে ফেলা হচ্ছে এবং বন উজাড়ে তা ভূমিকা পালন করছে। বনের আশেপাশে ১৫০টি জাতিগোষ্ঠীর বাস করে। পিগমি জাতিগোষ্ঠী এ বনের মধ্যে বাস করে।
মানব সৃষ্ট কারণে বনের ইকো সিস্টেম আজ হুমকির মুখে। গাছ এবং বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা এখানে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ এ রেইন ফরেস্টের মধ্যে রয়েছে। দরিদ্রতার কারণে মানুষ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বনটি উজাড় করে ফেলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।