আমাদের দুনিয়ার প্রাণী জগৎ বেশ বৈচিত্রময়। ছোটবেলা থেকেই আমরা অনেক প্রাণীর নাম শুনেছি এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সাধারণ ধারণা রয়েছে। আজ পাঁচটি প্রাণীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হবে যা আপনাকে অবাক করে দিবে।
পেঙ্গুইন পাখি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি ডানা মেলে আকাশে উড়তে পারে না। তবে সমুদ্রের বুকে 550 মিটার গভীর পর্যন্ত সাঁতার কাটতে পারে। যে পেঙ্গুইন পানির যত গভীরে যেতে পারে সে তত বেশি মাছ শিকার করে খেতে পারে। এতে করে চর্বি জমে ঠান্ডা পরিবেশে শরীরকে উষ্ণ রাখে।
বছরের একটি লম্বা সময় ধরে ভাল্লুক শীতনিদ্রা যাপন করে। এ সময় তারা কিছু শিকার করে না এবং খাবার খায় না। ঠিক এ সময়ে টিকে থাকার জন্য ভাল্লুক অন্য সময় প্রচুর পরিমাণে শিকার করে এবং খাবার গ্রহণ করে। শরীরে যথেষ্ট ক্যালরি থাকলে ভাল্লুকের শীতনীদ্রা যাপনে সমস্যা হয় না।
সিংহ তার চেয়েও বড় আকারের পশুকে মেরে ফেলতে বা শিকার করতে সক্ষম হয়। তার শক্তির জন্য নয় বরং বুদ্ধির জোড়ে তা সম্ভব হয়। মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল কর্টেক্স শিকারের সময় প্রয়োজনীয় কৌশলগত পরিবর্তনের সিংহকে সহায়তা করে থাকে। ফ্রন্টাল কর্টেক্স এর সাইজ পুরুষ সিংহের থেকে নারী সিংহের বড় হয়ে থাকে।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে পিঁপড়া নিজেদের ওজনের থেকে পাঁচ হাজার গুন বেশি ভরের বস্তু বয়ে বেড়াতে পারে। ভাইব্রেশনের সাহায্যে তারা শব্দ শুনতে পারে। পিঁপড়া পেশায় কৃষকের মত আচরণ করে থাকে। সবথেকে মজার ব্যাপার হলো যে বিশ্বের সব মানুষের ওজন এবং সব পিঁপড়ার ওজন প্রায় সমান।
লাল শিয়ালের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি শিকার করার জন্য পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রকে কাজে লাগায়। শিকার যদি ঘন জঙ্গলে বা আড়ালের লুকিয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র ব্যবহার করে শিয়াল তার অবস্থান সহজে জেনে যায়। এই অনন্য কৌশল ব্যবহার করেন শিয়াল শিকার করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।