আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ মুহূর্তে ‘হাস্যকর’ প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছেন দিল্লির এক ফাঁসির আসামি। তিনি মৃত্যুদণ্ডকে বায়ু দূষণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যা রিতীমতো বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দিল্লি সুপ্রিম কোর্টের কাছে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে ওই আসামি বলেন, দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি, যে মানুষের আয়ু এমনিই কমে আসছে, তাহলে আর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মানে কী?
সূত্রের খবর, নির্ভয়া কাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে আদালত। এ মাসেই তাদের ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করে আগেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল তিন অভিযুক্ত। আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু অক্ষয় সিংহ ঠাকুর নামে চতুর্থ অভিযুক্ত এতদিন পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আবেদন করেনি।
শেষ মুহূর্তে পৌঁছে এ সপ্তাহেই তার আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টের কাছে অক্ষয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। তার বয়ানে বলা হয়েছে, দিল্লির বায়ু দূষণ এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে একে এখন গ্যাস চেম্বার বলা যায়। এমনিতেই এখানে মানুষের আয়ু কমে আসছে। অক্ষয়ও দিল্লির জেলে থাকলে বেশি দিন বাঁচবে না। তাহলে আলাদা করে আর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার অর্থ কী? অক্ষয়ের প্রাণভিক্ষার বয়ান পড়ে অবাক দেশের আইনমহল। অনেকেই বলছেন, এমন আবেদন কখনও দেখেননি তারা। তাদের ধারণা, সময় বাড়ানোর জন্যই এমন অবাস্তব বয়ান তৈরি করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, অক্ষয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদনে আরও আশ্চর্য সমস্ত কথা লেখা হয়েছে। বলা হয়েছে ভারতীয় পূরাণ অনুযায়ী সত্য যুগে মানুষ হাজার বছর বাঁচতো। ক্রমে তা কমতে কমতে কলি যুগে এসে পৌঁছেছি আমরা। মানুষের মৃত্যুর গড় বয়স এখন ৫০-৬০। সে কারণে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আর কোনো অর্থ হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।