জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে প্রেমিককে জিম্মি করে প্রেমিকা কিশোরীকে ধ র্ষ ণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জাহানপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবুল ও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে বাবুল ও হেলালকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রেমিক মিজান এবং ভিকটিম কিশোরী তজুমদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
কিশোরী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মিজানের সঙ্গে তার ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ওই কিশোরীর। প্রেমিক মিজান বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কিশোরীকে উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের মাওলানা ভাসানী আবাসনে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে জাহানপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবুল ও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল চৌধুরী মিজানের বোনের আবাসন প্রকল্পের ঘরে এসে দুইজনকে আটক করে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে প্রেমিক মিজানের কাছ থেকে ওই কিশোরীকে অন্য আরেকটি কক্ষে সরিয়ে নিয়ে দরজা ও বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়রা প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে জাহানপুর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাগরের কাছে হস্তান্তর করেন। ইউপি সদস্যর সহযোগিতায় গভীর রাতে কিশোরীকে থানায় নিয়ে গেলে ভিকটিম কিশোরী বাদী হয়ে বাবুল ও হেলালকে আসামি করে শশীভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রেমিক মিজান জানান, প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য তিনি তজুমুদ্দিন থেকে জাহানপুরের আবাসন প্রকল্পে তার বোনের ঘরে নিয়ে আসেন। ওই আবাসনের সভাপতি ও শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তাদের আটক করেন এবং তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং তাদের উভয়ের পরিবারকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করেন। কিন্তু আরও টাকা নিতে ব্যর্থ হয়ে তাদের ওইখান থেকে অন্য একটি খালি বাড়িতে নিয়ে ঘরের বাতি বন্ধ করে দুজনকে আলাদা ঘরে আটকে রাখেন।
অভিযুক্ত বাবুল ও হেলাল বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ইউপি সদস্য নাগরের সঙ্গে তাদের নির্বাচনী বিরোধ রয়েছে। সে কারণেই ওই প্রেমিক যুবককে জিম্মি করে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। ওই প্রেমিক যুগল স্থানীয় চেয়ারম্যান নাজিম হাওলাদারের জিম্মায় রয়েছে বলে তারা জানান।
ইউপি সদস্য নাগর জানান, বাবুল ও হেলাল তারা দুজন রাতে কিশোরী ও তার প্রেমিককে অটোবোরাকে করে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তিনি তাদের উদ্ধার করেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানান। শনিবার সকালে চেয়ারম্যান বিষয়টির সমঝোতা করে উভয়কে তাদের পরিবারের জিম্মায় দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেই ঘটনাটি সমঝোতা করা হয়েছে।
শশীভূষণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, ইউপি সদস্য রাতে কিশোরীকে থানায় নিয়ে এলে কোনো মহিলা পুলিশ সদস্য না থাকায় তার জিম্মায় রাখার জন্য দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।