সংবাদ প্রতিদিনের খবর, সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায় ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ২২ বছরের তানাজি নাইডু বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। তখনই পাশের গ্রামের পবনী তার ওপরে হামলা করে তরোয়াল নিয়ে। শেষ পর্যন্ত তানাজিকে খুন করে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে সে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কেন সে খুন করল তার প্রেমিককে? পুলিশের কাছে সে কথা জানাতে গিয়ে পবনী পরিষ্কার জানিয়েছে, সে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে উঠেছিল তানাজির ওপরে। দিন দিন সেই বিরক্তি বাড়ছিল। তাই আর সহ্য করতে না পেরে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়।
পশ্চিম গোদাবরীর পুলিশের এসপি কে নারায়ণ নায়েক জানান, ‘ওদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। কিন্তু সম্প্রতি ছেলেটি মেয়েটিকে এড়িয়ে চলছিল। বিয়ে করতেও রাজি ছিল না। উলটে টাকা চেয়ে বিরক্ত করছিল মেয়েটিকে। সব মিলিয়ে তাকে আর সহ্য হচ্ছিল না মেয়েটির। তাই শেষে ধৈর্য হারিয়ে খুনের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত।’
তিনি আরও জানান, পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন এক হাতে তরোয়াল, অন্য হাতে ফোন ধরে কারও সঙ্গে কথা বলছিল অভিযুক্ত। পালানোর কোনও চেষ্টাও করেনি সে। মৃত তরুণের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পেছনে আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা জানতে পবনীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।