ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইসরায়েল সরবরাহ করা একটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন ইউক্রেনে সক্রিয় রয়েছে। কিয়েভের পক্ষ থেকে এ ধরনের অস্ত্রের মোতায়েনের স্বীকৃতি দেওয়ার এটি প্রথম ঘটনা।চলতি বছরের শুরুর দিকে এ বিষয়টি আলোচনায় আসে, যখন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মিখাইল ব্রডস্কি ইঙ্গিত দেন, আগে ইসরায়েলে মোতায়েন করা প্যাট্রিয়ট ইউনিট এখন ইউক্রেনের সেনারা ব্যবহার করছে। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত এই দাবি নাকচ করে জানায়, কোনো ধরনের অস্ত্র হস্তান্তর হয়নি।
জেলেনস্কি বলেন, “একটি ইসরায়েলি কমপ্লেক্স ইউক্রেনে কাজ করছে। এক মাস। এটি এক মাস ধরে কাজ করছে। আমরা আগামী শরতে আরও দুটি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম পাচ্ছি। এটাই। আমি আর প্যাট্রিয়ট নিয়ে কথা বলবো না।”
চলতি বছরের শুরুতে পশ্চিম জেরুজালেম ঘোষণা করেছিল ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যকর থাকা আটটি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম অবসরে নেওয়া হবে এবং এর পরিবর্তে উন্নততর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আনা হবে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, অবসরে নেওয়া ইউনিটগুলো ইউক্রেনে হস্তান্তরের ব্যাপারে ইসরায়েল খোলা মনোভাব দেখাচ্ছিল।
এ মাসের শুরুর দিকে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস ঘোষণা করেন, বার্লিন প্রথম দুটি প্যাট্রিয়ট ইউনিটের লঞ্চার কিয়েভে সরবরাহ করেছে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের আকাশ রক্ষায় অন্তত পাঁচটি এমন সিস্টেম প্রয়োজন হবে।
রাশিয়া বারবার পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করেছে, দাবি করেছে এগুলো শুধু যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে। রুশ কর্মকর্তারা আরও অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের সমর্থকেরা উন্নত অস্ত্রের আন্তর্জাতিক কালোবাজারকে উৎসাহিত করছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সতর্ক করেছেন, ইউক্রেন থেকে সরানো অস্ত্র বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, যার মধ্যে ইসরায়েলও রয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ তীব্র হওয়ার পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ইউক্রেনে সরবরাহ করা প্যাট্রিয়ট সিস্টেমগুলো রাশিয়া সহজেই ধ্বংস করবে।
সূত্র: আরটি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।