আপনি একজন দক্ষ কপিরাইটার হতে চাইলে বেশ কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে। লেখায় সৃজনশীলতা নিয়ে আসার জন্য এরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু কৌশল জুম বাংলার পাঠকদের কাছে শেয়ার করা হচ্ছে।
কোন টপিক নিয়ে লেখা শেষ হলে একটু শব্দ করে পড়বেন যেন নিজে শুনতে পান। এতে করে সকল বাক্য এর গঠন ঠিক হলো কিনা বুঝতে পারবেন। আর্টিকেলে কোন বাক্য শুনতে ও পড়তে ভালো না লাগলে এ পদ্ধতিতে তা বোঝা সম্ভব। আর্টিকেলটি পারফেক্ট করতে এ পদ্ধতি বেশ কার্যকরী।
সহজ শব্দ ব্যবহার করে বাক্য গঠন করা শিখতে হবে। দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করা ঠিক নয়। বড় বাক্য ভেঙ্গে ছোট করে ফেলতে হবে। বাক্যাংশ ব্যবহার করতে গেলেও কঠিন শব্দ পরিহার করতে হবে।
লেখায় এমন কিছু থাকতে হবে যা বেশ আকর্ষণীয় ও পাঠকদের আনন্দ দিবে। এর মানে এটা নয় যে জোকস বলতে হবে। লেখার মাধ্যমে পাঠককে আনন্দ দিতে পারলে বিশ্বাস বাড়বে, তাদের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে।
ক্লায়েন্ট আপনার শত্রু নয়। এ কথা সবসময় মনে রাখতে হবে। তাদের সমালোচনাকে নেতিবাচক হিসেবে নেওয়া যাবে না। কঠোর সমালোচনা করলেও তর্ক করা যাবে না। ক্লায়েন্ট ব্র্যান্ড নিয়ে যেটা বলে সেটাই সঠিক এমন ধারণা পোষণ করতে হবে।
আপনার সহকর্মী নিয়ে সবসময় ইতিবাচক কথা ভাববেন। তার মধ্যে সৃজনশীলতা আছে, সে ভালো কপিরাইটার, লেখার সটাইল অত্যন্ত চমৎকার; এ ধরনের ট্যালেন্ট থাকতে পারে। কাজেই সহকমীর্কে কখনও অবহেলা করবেন না। তার গুণাবলি কোম্পানির উপকারে আসতে পারে।
একটানা অনেকক্ষণ কাজ করে নিজেকে ক্লান্ত করবেন না। একটু বিরতি নিন। নিজেকে সময় দিন। ঐ সময়ে আপনার কাজ, গোল বা আর কী কী অর্জন করতে চান তা নিয়ে ভাবুন। এসব ক্ষেত্রে কিছু ক্রিয়েটিভ আইডিয়া মাথায় আসতে পারে।
আপনার লেখা ডিমের মত মসৃণ হওয়া উচিত। আপনার মধ্যে যেনো Imposter Syndrome এর অনুভূতি তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সবসময় বিশ্বাস করবেন যে, আপনার মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।