জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুর সদরপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী চলাকালীন দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার পুলিশসহ অন্তত ১০জন আহত হযেছে। আহতদের উপজেলার বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে স্থানয় বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের সমর্থিত দুই পক্ষ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে। দুপুরের দিকে উভয়পক্ষ একই সময়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় পৃথক মিছিল নিয়ে একইস্থানে সমবেত হয়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া উভয় পক্ষের আরো অন্তত ছয়জন আহত হন।
বর্তমান এমপি নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক সদরপুরের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান জানান, তিনদিন আগে এখানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্ল্যাহ জনসভা করে প্রশাসন ও সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। সেটা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই কাজী জাফরউল্লাহর পক্ষের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিক্সন সমর্থিতদের উপর হামলা করে।
অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কাজী জাফরউল্ল্যাহ গ্রুপের মশিউর রহমান মীম। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ নিক্সন এর সমর্থক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমানের লোকজন অতর্কিতে হামলা চালালে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়।
ফরিদপুরের অরিক্তি পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দায়িত্বরত চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরা হলেন, এস আই ফরহাদ হোসেন, এসআই মো. কামরুজ্জামান, এএসআই রবিউল ইলাম, কনেস্টবল জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ সমর্থিতদের সাথে বর্তমান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভাগনের ছেলে মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থকদের বিরোধ আগে থেকেই চলে আসছিল।
খবর : বণিকবার্তা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।