জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত দুইদিনে পদ্মা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে এখন তা বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে গেলেও বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
এদিকে, বন্যার পানি কমতে থাকায় ফরিদপুরের সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে পদ্মা এবং সদরপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। বর্তমানে বন্যায় ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থ চ্যানেল, চরমাধবদিয়া ও আলিয়াবাদের নিম্নাঞ্চলের বেশির ভাগ গ্রাম প্লাবিত রয়েছে।
এছাড়া সদরপুরের চর নাসিরপুর, ঢেউখালী, চর মানাইর, আকটেরচর ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম ও চরভদ্রাসন উপজেলার চরঝাউকান্দা, চরভদ্রাসন সদর, চরহরিরামপুরের শতাধিক গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী হয়ে আছে। বন্যার পানিতে বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে খাবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া পশু খাবারের সংকট চলছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। নতুন করে বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। ডিক্রিরচর ইউনিয়নের শুকোর আলী মৃধার ডাঙ্গি, নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গি গ্রামের বেশকিছু বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে এসব এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা ও বসতভিটাসহ বহু স্থাপনা। প্রতিদিন ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছে নদীর তীরবর্তী মানুষরা।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান, তার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম এখনো প্লাবিত রয়েছে। বন্যার চেয়ে তার ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে নদী ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রাম নিমজ্জিত রয়েছে। অসহায় মানুষের মাঝে অল্পকিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।