জুমবাংলা ডেস্ক : গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারপর থেকে রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয় হয় মাঠের রাজনীতিতে। ইতিমধ্যে বিএনপি এবং জামায়াত নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর-২ আসনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন। এলাকায় বিভিন্নি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও সেমিনারে অংশ নিয়ে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিচ্ছেন। কেউ কেউ জুলাই আন্দোলনে শহিদ বা আহতদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং পরিবারকে সহযোগিতা করছেন।
ফরিদপুর-২ আসনটি নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনে আগে দুই হেভিওয়েট নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। একজন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুর রহমান, আরেকজন আওয়ামী লীগের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তাদের মৃত্যুর পর সন্তানেরা নির্বাচনি হাল ধরেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। বিএনপির হয়ে কেএম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু নির্বাচনি মাঠে সরব রয়েছেন। বিএনপির হয়ে অনেকটা এককভাবে মাঠে রয়েছেন তিনি। নানা অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে কৌশলে গণসংযোগ করছেন। এখানে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল কিছুদিন নির্বাচনি তৎপরতা চালালেও দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে এখন অন্য আসনে গণসংযোগ করছেন।
তবে এ আসনে ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাবিদার বাবুল তালুকদার ও সাবেক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান বুলু। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সময়ের সূত্রানুযায়ী এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৬০৯ জন।
এদিকে এ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী নির্বাচনে লড়বেন নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা সোহরাব হোসেন। দলীয় সিদ্ধান্তের পর তিনি এলাকায় কাজ করছেন এবং সরব রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।