জানালাবিহীন সেলে ফাঁসির আসামিরা!
জুমবাংলা ডেস্ক : বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবেদনে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেথ সেলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ঐ কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পাশাপাশি পৃথক পৃথক সেলে অবস্থান করেন। একটি সেল থেকে অন্য সেলের দূরত্ব ১৮ ফুট। প্রতিটি সেলের দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট এবং প্রস্থ ৯ ফুট। উচ্চতা ১৩ ফুট। ডেথ সেলের সামনে একটি দরজা আছে, যার দৈর্ঘ্য ৭ ফুট এবং প্রস্থ ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি। সেলের ভেতরে চার ফুট উচ্চতার দেওয়াল দিয়ে ঘেরা একটি টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি সেলের সঙ্গে রয়েছে একটি করে আঙিনা। যাতে একজন বন্দি অন্য বন্দির সহযোগিতা ছাড়াই মুক্ত বাতাস পেতে পারে। সেলের ভেতরে কম্বল, পোশাক, একটি করে অ্যালুমিনিয়ামের মগ, প্লেট ও বাটি দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন একজন বন্দির জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত আটটি করে সিগারেটও সরবরাহ করা হয়। মাসে এক দিন জেলগেটে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান।
এছাড়া নিয়মিত চিকিৎসাসেবা প্রদান, ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা, বই-পুস্তক ও পত্রপত্রিকা পড়ার সুযোগ, সেলসংলগ্ন আঙিনায় গোসল ও শরীরচর্চার সুযোগ রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সিলেট ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেথ সেলের অন্দরমহলের চিত্রও প্রায় একই। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন ঐ সব সেলে থাকা বন্দিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।