
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম (৩৫)–এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার গভীর রাতে তার মরদেহ পৌঁছায় নিজ গ্রাম শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারচর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় পোড়াগাছা মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আবুল কালাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের জলকাঠি এলাকায় বসবাস করতেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে আব্দুল্লাহ (৫) ও এক মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (৩)-এর জনক ছিলেন।
স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার সন্তানরা এখনো বুঝতে পারেনি, তাদের বাবা আর ফিরবে না। ওরা বলে, ‘বাবা ঘুমাচ্ছে মা, তুমি কান্না করোনা।’ আমি কীভাবে ওদের বোঝাই যে, ওদের বাবা আর কখনো জাগবে না! আবুল কালামই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা, এখন আমি ও সন্তানরা একেবারে দিশেহারা হয়ে গেছি।”
চাচাতো ভাই আব্দুল গণি চোকদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের অবহেলার কারণে আমার ভাই মারা গেল। এখন এর দায় কে নেবে?
নড়িয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাকী দাস বলেন, আবুল কালামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তার জানাজা ও দাফনে অংশ নিয়েছি। আমরা সার্বক্ষণিক তার পরিবারের পাশে রয়েছি। পরিবারের লোকজন যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসনকে পাশে পাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



