ওষুধ তৈরি করার সময় ইন্ডাস্ট্রি থেকে যখন ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তখন তা পানি প্রবাহের মাধ্যমে জলজ পরিবেশ যেমন ভূগর্ভস্থ জল, নদী, হ্রদ, সাগরে এসে পৌঁছায়। একে ফার্মাসিউটিক্যাল দূষণ বা ড্রাগ পলিউশন বলা হয়।
আমরা প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধ এর নাম লেখা দেখি তা মূলত ফার্মাসিউটিক্যাল রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা দেয় ফার্মাসিউটিক্যাল রাসায়নিক উপাদান থেকে ওষুধ তৈরির সময় তা উৎপাদন, ব্যবহার এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অংশ পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয় যা বেশিরভাগ পৃথিবীর জলাশয়ে চলে যায়। এর ফলে বিশ্বের নদীগুলো দূষণের সম্মুখীন হচ্ছে এবং জলাশয়ের পানির কোয়ালিটি হ্রাস পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল টক্সিকোলজি এন্ড কেমিস্ট্রি নামক জার্নালে একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এই গবেষণা ১০৪ টি দেশের ১ হাজার ৫২টি জলাশয় জুড়ে করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় জলাশয় 43.5% ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২৩ ধরনের ফার্মাকোলজিক্যাল উপাদান সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে এন্টি ডিপ্রেশেন্ট, এন্ট্রি মাইক্রোবিয়াল, এন্টিহিস্টামিন, ব্যাথানাশক এবং অন্যান্য শ্রেণীর যৌগগুলি যা আমরা নিরাপদ বলে মনে করি।
নিউইয়র্ক এর পিএইচডি গবেষক আলেজনান্দ্রো বোজাস এ গবেষণার সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান পুরো বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ওষুধের নানা উপাদানের ফলে বিশ্বের নদীগুলোর বর্তমানে কী অবস্থা তারা চিত্র এ গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। এতে করে নদীর স্বাভাবিক কার্য প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আপনি এটাকে ফার্মাসিউটিক্যাল পলিউশন বলতে পারেন।
বিশ্বের জলাশয়কে ফার্মাসিউটিক্যাল দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে। এসব ইন্ডাস্ট্রি থেকে উৎপাদিত বজ্র উপাদান নিষ্কাশনে এমন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করতে হবে যেন তা পরিবেশন কোন ক্ষতি না করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।