আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, তিনি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করবেন। তিনি আরো বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ককে এ বিষয়ে রাজি করানোর জন্য ওই দুই দেশে আঙ্কারায় যেন কোনো প্রতিনিধি না পাঠায়। খবর পার্সটুডে’র।
প্রথমে ফিনল্যান্ড এবং তারপর সুইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এরদোগান এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।তিনি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সূতিকাগার’ মনে করে তুরস্ক।
তুরস্কে ২০১৬ সালের এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য এরদোগান-বিরোধী প্রবাসী নেতা ফাতহুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আঙ্কারা। তুর্কি সরকার অভিযোগ করে আসছে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন গুলেনের সমর্থকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। একইসঙ্গে ওই দুই দেশে তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে’র সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ করে আঙ্কারা। পিকেকে’কে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে তুরস্ক।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের বিরুদ্ধে আরও এক কারণ ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যেসব দেশ তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ন্যাটোতে তাদের সদস্যপদ আটকে দিতে আঙ্কারা বদ্ধপরিকর। ২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক আগ্রাসনের কারণে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড আঙ্কারার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাটো জোটে ১৯৫২ সালে যোগ দেয় তুরস্ক। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটে নতুন সদস্য গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে এই জোটে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ পাবে তুরস্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।