ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানা ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা চলছে, তবে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৯৪ জন। ভূমিকম্পের সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেবু দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায়, যেখানে শতবর্ষী একটি গির্জা ধসে পড়েছে এবং নগর এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের সিভিল ডিফেন্স সংস্থার বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবারের তুলনায় মৃতের সংখ্যা তিনজন বেড়েছে। সব মৃত্যুই ঘটেছে মধ্য ভিসায়াস অঞ্চলে। ভূমিকম্পটি অগভীর হওয়ায় সেবু দ্বীপের বিদ্যুৎ লাইন, সেতু এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সরাসরি ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেবু শহরে ৩৪ লাখ মানুষ বসবাস করে। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হলো সান রেমিজিও, যেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সহকারী মেয়র আলফি রেইনেস জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে, বিদ্যুৎ নেই, এবং পানির সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানুষ তীব্র সংকটে। তিনি খাদ্য, পানি এবং ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসছেন এবং ভবন ধসে পড়ছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন সান রেমিজিওর একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাস্কেটবল খেলছিলেন, যেখানে ভবনটি আংশিকভাবে ধসে পড়েছে।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ফিলিপাইনে প্রতিবছর ৮০০-রও বেশি ভূমিকম্প ঘটে। ২০১৩ সালের বোহোল দ্বীপের ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এটি দেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।