ফুটবলার নিয়ে ব্যবসা করে সবচেয়ে লাভবান ক্লাব বেনফিকা
স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলার বিক্রি করে লাভ করার ক্ষেত্রে জুড়ি নেই পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার। মাত্র ছয় মাস আগে ১৪ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে এনজো ফার্নান্দেসকে কিনে তাকেই চেলসির কাছে বিক্রি করে ১২১ মিলিয়ন ইউরোয়। এ ছাড়া জোয়াও ফেলিক্স, ডারউইন নুনেজদের মতো ফুটবলার বিক্রি করে ক্লাবটি আয় করেছে ১ বিলিয়ন পাউন্ড।
ফুটবলার নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে বেনফিকার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে অন্য ক্লাবগুলো। বার্সেলোনার যেখানে ফুটবলার কিনে দেউলিয়া হওয়া পথে, সেখানে গত কয়েক বছরে শুধু খেলোয়াড় বিক্রি করে পর্তুগালের ক্লাবটি আয় করেছে প্রায় ১ বিলিয়ন পাউন্ড।
পর্তগিজ ইগলস সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার এনজো ফার্নান্দেসকে নিয়ে। গত জুলাইয়ে রিভার প্লেট থেকে মাত্র ১৪ মিলিয়ন ইউরোয় তারা কিনেছিল তাকে। বিশ্বকাপে সেরা উদীয়মান ফুটবলার নির্বাচিত হওয়ায় তার চাহিদা হয়ে উঠে আকাশচুম্বী। সুযোগ বুঝে ১২১ মিলিয়ন হাঁকিয়ে সেই দিনটাই মেরেছে বেনফিকা।
শুধু এনজো নন! ২০১৯ সালে জোয়াও ফেলিক্সকে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে ১১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করেছিল ইগলস। যা কিনা ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে সবচেয়ে দামি ট্রান্সফার। তবে পর্তুগাল ফরোয়ার্ডকে বিক্রি করে ঠিক কত লাভ করেছে বেনফিকা সেই তথ্য নেই গণমাধ্যমে। কাকতালীয়ভাবেই ফেলিক্সও এখন লোনে খেলছেন চেলসিতে।
বেনফিকার বিক্রিত একাদশ দেখলে চোখ কপালে উঠবে যে কারো। এই তালিকায় আছেন ডারউইন নুনেজ, এডারসন, রুবেন দিয়াস, ভিক্টর লিন্ডেলফ, দিয়াগো জোতা, নেলসেন সেমেদোর মতো তারকা ফুটবলার। যাদের সবাই মাঠ মতাচ্ছেন ইপিএলসহ ইউরোপের প্রথম সারির লিগে।
ফুটবলার কেনাবেচা করে শুধু এই মৌসুমেই ২৩১ মিলিয়ন পাউন্ড লাভ করেছে বেনফিকা। বিগত পাঁচ বছরের হিসাব কষলে এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক বিলিয়ন পাউন্ড। যদিও এনজো ফার্নান্দেসকে বিক্রি করে পাওয়া অর্থের একটা বড় অংশ দিতে হবে তার সাবেক ক্লাব রিভার প্লেটকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।