স্পোর্টস ডেস্ক: ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপা খরা কাটাতে ফেবারিট হিসেবে কাতারে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মেসি ভক্তরাও চাইছিলেন এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি তার হাতেই উঠুক। তবে প্রথম ম্যাচেই অপেক্ষাকৃত কম শক্তির সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে যাওয়ায় অনেকেই আলবেলেস্তেদের এবারের বিশ্বকাপে খুব বেশি দূরে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। শুরু হয় সমালোচনা।
তবে সব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মেসিরা। তৃতীয় বিশ্বকাপে শিরোপা থেকে এখন মাত্র দুই ধাপ দূরে তারা। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে পারলেই ফাইনালে উঠে যাবে স্কালোনির শিষ্যরা।
আর সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে শক্তিশালী ভাবতেই পারেন সমর্থকরা। ইতিহাস অনন্ত সেটাই বলে। কারণ, কাতার বিশ্বকাপের আগে এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে একবারও হারেনি তারা।
বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসরেই সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে এবং ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে।
তবে মজার ব্যাপার হলো, ১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলেও সেবার সেমিফাইনাল ছিল না। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত সে আসরে প্রথমে ১৬ দল ৪ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে। সেই চার গ্রুপের সেরা আট দল দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই গ্রুপে ভাগ হয়। এই দুই গ্রুপের সেরা দুই দল খেলে ফাইনাল। সেই হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচবার ফাইনাল খেললেও চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ম্যারাডোনার দল।
আর্জেন্টিনা-যুক্তরাষ্ট্র, (উরুগুয়ে বিশ্বকাপ, ১৯৩০)
বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই সেমিফাইনাল খেলা আর্জেন্টিনা। সে আসরে ফেবারিট যুক্তরাষ্ট্রকে সেমিফাইনালে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন লুইস মন্তি, আলেহান্দ্রো স্কোপেয়ি, গিলের্মো স্তাবিলে ও কার্লোস পেকুসেয়ে।যদিও ফাইনালে স্বাগতিক উরুগুয়ের কাছে ৪-২ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা-বেলজিয়াম (মেক্সিকো বিশ্বকাপ, ১৯৮৬)
দিয়াগো ম্যারাডোনা নৈপূণ্যে এই আসরে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫২ ও ৬৩ মিনিটে দুটি গোল করেন ম্যারাডোনা। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা-ইতালি ( ইতালি বিশ্বকাপ, ১৯৯০)
টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওটারে আগে এই আসরে সেমিফাইনালে ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। মূল খেলায় ১-১ গোলে সমতা ছিল। যদিও ‘৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে তাদের হারতে হয় ১-০ গোলে।
আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস (ব্রাজিল বিশ্বকাপ, ২০১৪)
‘৯০ বিশ্বকাপের মতো এই আসরেও ফাইনালে জার্মানির কাছে শিরোপা হারায় আর্জেন্টিনা। ফাইনালে ওঠার আগে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসের বাধা টপকায় মেসিরা। সেমিফাইনালে ১২০ মিনিটেও গোল করতে পারেনি কোনো দল। তবে টাইব্রেকারে ডাচদের ৪-২ গোলে হারায় ডাচরা।
সেজদায় লুটিয়ে পড়ে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানালেন মরক্কোর ফুটবলাররা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।