মাহমুদ আহমদ : যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতায় ফুলকে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে দেখা হয়। এজন্যই ফুল ভালোবাসার প্রতীক, পবিত্রতার প্রতীক।
মহানবী (সা.) ফুলকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি (সা.) ফুলকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন বলেই তার আদরের প্রিয় দুই দৌহিত্রকে ফুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
এছাড়া শিশুদের প্রতি মহানবীর (সা.) ভালোবাসা ছিল অগাধ। এজন্য শিশুদেরকেও তিনি ফুলের সঙ্গে উপমা দিয়েছেন।
হজরত হাসান (রা.) ও হজরত হুসাইনকে (রা.) মহানবী (সা.) সুগন্ধময় ফুলের সঙ্গে উপমা দিয়েছেন। এ থেকে বুঝা যায় মহানবী (সা.) তাদের কতটা ভালোবাসতেন।
এ বিষয়ে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে মহানবী (সা.) বলেছেন, হাসান ও হুসাইন দু’জন এই পৃথিবীতে আমার দু’টি সুগন্ধময় ফুল। (তিরমিজি)
হজরত আবু উসমান আন নাহদি (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যদি কাউকে ফুল উপহার দেয়া হয়, সে যেন তা ফিরিয়ে না দেয়। কেননা তা জান্নাত থেকে আনা হয়েছে। (তিরমিজি শরিফ)
এর অর্থ এটা নয় যে ফুলকে ব্যবহার করে আমি নানা অপকর্মে নিজেকে জড়িয়ে ফেলব বরং ফুলের ভালো ব্যবহার আমাদেরকে করতে হবে। সম্ভব হলে আমাদের বাড়িঘরে চারপাশ ফুলের বাগান করে সাজিয়ে রাখতে পারি।
নিজেদের ঘর, অফিস সবকিছুই আমরা ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজাতে পারি। এতে পরিবেশ যেমন ভালো থাকবে আর মনও ভালো এবং সতেজ থাকবে।
হাদিসের শ্রেষ্ঠতম গ্রন্থ বোখারি শরিফে উল্লেখ রয়েছে, রাসুলুল্লাহর (সা.) অভ্যাস ছিল, কেউ তাকে ফুল উপহার দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দিতেন না।