জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনী জেলায় স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১০ জন পুরুষ,৪ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১২ জনের পরিচায় পাওয়া গেলেও বাকী ৫ জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার রাতে ফেনী জেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তবে অনেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে যাদের পরিচয় মিলে, পরশুরাম উপজেলার ধনিকুন্ডা গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৭০),একই উপজেলার মধুগ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৫০),ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের শাকিলা (২২),উত্তর করইয়া গ্রামের বেলালের ছেলে কিরণ (২০),দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজু (২০),কিসমত বাসুড়া গ্রামের আবুল খায়ের (৫০),লক্ষীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ তারেক (৩২),শনির হাট গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রজবের নেছা (২৫), সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মাবুল হকের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২৮),ছাড়াইতকান্দি গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে আবির (৩),দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর করিমপুর গ্রামের নুর নবীর ছেলে নুর মোহাম্মদ মিরাজ (৮),জয়লস্কর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে জাফর ইসলাম (৭)। এছাড়াও ফেনী সদর উপজেলায় অজ্ঞাত ২ জন,ছাগলনাইয়া উপজেলায় অজ্ঞাত এক মহিলা,অজ্ঞাত একজন পুরুষ ও এক হিন্দু নারীর পরিচয় মেলেনি।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ফেনীতে বন্যায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্যোগের শিকার হয়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেড় লাখের মতো মানুষ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। অবশিষ্ট লোকজন বিভিন্ন উপজেলায় বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশি ও আত্মীয়স্বজনদের উঁচু ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছেড়ে লোকজন নিজ বাসগৃহে ফিরতে শুরু করেছেন। সূত্র আরো জানায়, বন্যা দুর্গত এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আনুমানিক ৮৮ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আনুমানিক ৬০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে ও অন্যান্য জেলা হতে আগত বেসরকারি সংগঠন ব্যাক্তিগতভাবে ত্রাণ বিতরণ করে। এদিকে ফেনী জেলায় ১টি,ছয় উপজেলায় ৬টি এবং বেসরকারিভাবে ৭টি হাসপাতালে মেডিকেল ক্যাম্প চালু রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।