জুমবাংলা ডেস্ক: আগামী মাসে পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হতে পারে। এ লক্ষ্যে নির্মাণাধীন ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কাজ প্রায় শেষের পথে।
ভারতের সরকারি সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) রোববার এক প্রতিবেদনে আগামী মাসে ডিজেল সরবরাহ শুরু করার এই তথ্য দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে আসামভিত্তিক ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা নুমালিগড় রিফাইনারির (এনআরএল) বিপণন টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত এই পাইপলাইনে জ্বালানি বহন করা হবে।
পিটিআইর প্রতিবেদনে এনআরএলের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় এই প্রকল্পের কৌশলগত সব কাজ ভারতের অর্থায়নে গত বছরের ১২ ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এই পাইপলাইন উদ্বোধনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিপিসির সূত্র সমকালকে বলেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা এ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৮৭ শতাংশ। মূলত ডিপো নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজে বিলম্ব হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ইস্পাতের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ট্যাঙ্ক নির্মাণে গড়িমসি করে। পরে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলে।
পিটিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পাইপলাইন নির্মাণে ব্যয় ৭৭ দশমিক শূন্য ৮ কোটি রুপি। এর মধ্যে ভারতের অংশের জন্য ৯১ দশমিক ৮৪ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে এনআরএল। বাংলাদেশ অংশের জন্য ২৮৫ দশমিক ২৪ কোটি রুপি অনুদান সহায়তা দিয়েছে ভারত। ভূমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক কাজে বাংলাদেশ সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা।
এনআরএল এবং বিপিসি ২০১৭ সালের এপ্রিলে এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করে। সংশ্লিষ্টদের মতে, চুক্তি অনুসারে ডিজেলের দামে বাড়তি সুবিধা পাবে এনআরএল। কারণ ভারত থেকে ডিজেল আমদানির যে প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে তা বর্তমানে বিপিসির তেল আমদানির নির্ধারিত প্রিমিয়ামের চেয়ে বেশি। চুক্তি অনুসারে, প্রথম তিন বছর ২ লাখ টন, পরের তিন বছর ৩ লাখ টন, এর পরের চার বছর ৫ লাখ টন এবং অবশিষ্ট পাঁচ বছরে ১০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা যাবে। ২০১৭ সাল থেকে এনআরএল থেকে রেলওয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ২০০ টন ডিজেল আমদানি করছে বিপিসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।