Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    Bangla news
    Home ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিনই গণভোট, চার প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ–না’ ভোটে নির্ধারিত হবে সংবিধান সংস্কারের পথ
    জাতীয় ডেস্ক
    জাতীয় স্লাইডার

    ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিনই গণভোট, চার প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ–না’ ভোটে নির্ধারিত হবে সংবিধান সংস্কারের পথ

    জাতীয় ডেস্কArif ArifArmanNovember 14, 20258 Mins Read
    Advertisement

    গণভোট অনুষ্ঠিত হবে
    আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ব্যালট পেপারে ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ চিহ্ন দিয়ে জানাবেন তারা সংবিধান সংস্কার চান কি না। ‘হ্যাঁ’ ভোটের সংখ্যা বেশি হলে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ।

    রাষ্ট্রপতি গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন। একই দিন আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।

    গণভোটে চারটি প্রস্তাবে ভোট নেয়ার কথা বলা হয়েছে। ভোটাররা শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ চিহ্ন দিয়ে মতামত দেবেন। যদি ‘হ্যাঁ’ ভোট সংখ্যা বেশি হয়, তবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ।

    পরবর্তী জাতীয় সংসদ দুই কক্ষবিশিষ্ট হবে বলেও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে। ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধন করতে হলে এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

       

    নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৩০ পঞ্জিকা দিনের মধ্যে সংসদের প্রথম অধিবেশনের মতো একই পদ্ধতিতে আহ্বান করা হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদের প্রথম অধিবেশন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ ও গণভোটের ফল অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে।

    সংবিধান সংস্কার চূড়ান্ত হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত হবে নতুন উচ্চকক্ষ। এর মধ্য দিয়েই দেশে কার্যকর হবে নতুন কাঠামোর সংসদ ব্যবস্থা।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বাস্তবায়ন আদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবিগুলো সমন্বয় করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    ফলে কোনো এক দলের সব দাবি পূরণ হয়নি, আবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে আলোচনা ছাড়াই কিছু প্রস্তাব এই আদেশে যুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণ‌ভোট একই ‌দি‌নে আয়োজনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর দাবি পূরণ হয়েছে। তবে সংলাপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণ‌ভো‌টে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি ও ভিন্নমত) রাখার দাবি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাস্তবায়ন আদেশে তিনটি সংস্কার প্রস্তাব ছাড়া অন‌্যগু‌লো ‘নে‌াট অব ডি‌সেন্ট’ অনুযায়ী বাস্তবায়‌নের সু‌যোগ থাক‌ছে। জামায়া‌তে ইসলামীর প্রধান দা‌বি ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট’ গ্রহণ করা হয়নি।

    ত‌বে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠ‌ন পদ্ধ‌তি এবং সাংবিধা‌নিক প্রতিষ্ঠা‌নে নি‌য়ো‌গে ‘নোট অব ডি‌সেন্ট’ না রাখার দা‌বি পূরণ হ‌য়েছে। এই দাবির সঙ্গে একমত ছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির মূল দা‌বি ‘রাষ্ট্রপ‌তি নয়, প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জা‌রি কর‌বেন’ পূরণ না হলেও গণপ‌রিষ‌দের আদ‌লে ‘সং‌বিধান সংস্কার প‌রিষ‌দ’ গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে। অথচ এই প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে কোনো আলোচনা করা হয়নি। সনদ স্বাক্ষরের পর কমিশনের যুক্ত করা প্রস্তাবটি নিয়ে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল আপত্তি জানায়।
    দীর্ঘ প্রায় ৯ মাসের আলোচনা, সংলাপ ও তর্কবিতর্কের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় গত ১৭ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়। সনদে ২৫টি দল ও জোট স্বাক্ষর করে। বাকি পাঁচটি দলের মধ্যে এনসিপি সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন সুপারিশ না দেখে স্বাক্ষর করবে না বলে কমিশনকে জানিয়েছিল। বাকি চারটি বামপন্থী দল সাত দফা দাবি তুলে ধরে স্বাক্ষর থেকে বিরত থাকে। এই অবস্থায় গত ২৮ অক্টোবর বাস্তবায়ন সুপারিশসহ জুলাই সনদ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে গণভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সনদের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে গণভোটের প্রস্তাবে রীতিমতো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর সনদ বাস্তবায়নের জন্য ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠন ও ২৭০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া এবং সেই সময়ের মধ্যে সংসদ ব্যর্থ হলে সংস্কার প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত করার সুপারিশ ও ভোটের সংখ্যানুপাতে ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব নিয়ে সংকট দেখা দেয়।

    জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মধ্যে তীব্র মতবিরোধ চরমে পৌঁছে। এ অবস্থায় সরকার দলগুলোকে মতবিরোধ কাটিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়। গত সোমবার সেই সময় শেষ হওয়ার পর গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সরকার। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

    আদেশে যা বলা হয়েছে : এই আদেশে সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থানসহ অন্যান্য প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি এই আদেশ জারি করলেন।

    যেসব প্রস্তাবে গণভোট : আদেশে উল্লখ করা হয়েছে, জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নগুলো হবে আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন? এতে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিতে হবে। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে (ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে। (খ) আগামী জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষের। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে। (গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কয়েকটি সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে এবং (ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

    গণভোট সম্পর্কে আরো বলা হয়েছ, ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করবেন। এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা হবে।

    ‘হ্যাঁ’ ভোট বেশি হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন : গণভোটে উপস্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠিত হবে, যা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে এবং এই আদেশ অনুসারে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ ও গণভোটের ফলাফল অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে এবং তা সম্পন্ন করার পর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। পরিষদের কার্যধারায় অংশগ্রহণের সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পরিষদ সদস্য হিসেবে অভিহিত হবেন। পরিষদ এর অধিবেশন আহবান ও মুলতবি, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপনের পদ্ধতি, ওই প্রস্তাব বিবেচনা ও গ্রহণ এবং অন্য সব বিষয়ে কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করবে। জাতীয় সংসদ সচিবালয় পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

    এ ছাড়া এই আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর একই শপথ অনুষ্ঠানে পরিষদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন এবং শপথপত্রে স্বাক্ষর করবেন। সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে যিনি শপথ পাঠ পরিচালনা করবেন তিনিই এই আদেশের তফসিল ১-এ বিধৃত ফরমে পরিষদ সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করবেন। পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে পরিষদ সদস্যরা এর সভাপ্রধান ও উপসভাপ্রধান নির্বাচন করবেন এবং ওই রূপ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত পরিষদের বয়োজ্যেষ্ঠ একজন সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিক্রমে বৈঠকে সভাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপ্রধান ও উপসভাপ্রধান উভয়ের অনুপস্থিতিতে পরিষদের কার্যপ্রণালী অনুযায়ী কোনো পরিষদ সদস্য সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।

    সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষিত হওয়ার ৩০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে যে পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহবান করা হবে অনুরূপ পদ্ধতিতে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহবান করা হবে। পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ন্যূনতম ৬০ জন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে। সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং অন্যান্য বিষয়ে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে; তবে শর্ত থাকে যে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে সভাপ্রধান নির্ণায়ক ভোট প্রদান করবেন। পরিষদের কোনো কার্যধারার বৈধতা এবং পরিষদ সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি জাতীয় সংসদ ও সংসদ সদস্যদের অনুরূপ হবে।

    আদেশে আরো বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর যেসব সংস্কার অবিলম্বে কার্যকর করা সম্ভব তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে সরকার সব যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা এবং এর কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হবে। উচ্চকক্ষের মেয়াদ হবে শপথগ্রহণের তারিখ থেকে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত। সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রয়োজন হবে না। উচ্চকক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্দেশ্যে পরিষদ প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করতে পারবে এবং সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে পারবে। পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধান সংস্কার চূড়ান্ত হবে এবং ওই রূপ সংস্কার বিষয়ে অন্য কোনোভাবে অনুমোদন বা সম্মতির প্রয়োজন হবে না। সংবিধান সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ পাঠ অনতিবিলম্বে সরকার সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে এবং আদেশের বিধানাবলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে পারবে।

    দলগুলোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া : জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজের সই করা জুলাই জাতীয় সনদ লঙ্ঘন করেছেন। জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে ‘নোট অব ডিসেন্টের’ মাধ্যমে মীমাংসিত। এটি নতুন করে আরোপ করার কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ নামের যে বডি, সেটি জাতীয় সংসদের কোনো পর্যায়ে গঠনের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিষয় ছিল না। এটা সম্পূর্ণ নতুন ধারণা।

    জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণের অভিপ্রায় ও গণদাবিকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।

    এনসিপি বলেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই আদেশ জারি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।
    সূত্রঃ কালের কন্ঠ

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় গণভোট চার দিনই নির্ধারিত নির্বাচনের পথ প্রস্তাবে ফেব্রুয়ারির ভোটে সংবিধান সংস্কারের স্লাইডার হবে হ্যাঁ-না
    Related Posts
    জেলা প্রশাসক আশেক হাসান

    যশোরের নতুন জেলা প্রশাসক আশেক হাসান

    November 14, 2025
    Logo

    আরও ৯ জেলায় নতুন ডিসি, প্রত্যাহার ৮

    November 14, 2025
    Bazar

    পেঁয়াজের দাম কমেনি, সবজিও কিছুটা বাড়তি

    November 14, 2025
    সর্বশেষ খবর
    জেলা প্রশাসক আশেক হাসান

    যশোরের নতুন জেলা প্রশাসক আশেক হাসান

    Logo

    আরও ৯ জেলায় নতুন ডিসি, প্রত্যাহার ৮

    Bazar

    পেঁয়াজের দাম কমেনি, সবজিও কিছুটা বাড়তি

    গালিব

    জনগণ গণভোট বুঝবে কি না—প্রশ্নের সহজ উত্তর দিলেন গালিব

    সানায়ে তাকাইচি

    তাইওয়ান নিয়ে সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর চীনের কড়া বার্তা, জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব

    সিইসি

    নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকায় থাকতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা জরুরি: সিইসি

    গণতন্ত্রের চর্চা

    সত্যিকার গণতন্ত্রের সূচনা হবে বেশি চর্চা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে: মির্জা ফখরুল

    নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন

    কুমিল্লা-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন হাসনাত

    বিএনপিতে যোগদান

    ভোলায় জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান

    প্রস্তুত থাকার আহ্বান

    চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.