আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরকে সংবিধানের ৩৭০ ধারায় বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এতে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই দুই অঞ্চল কেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দেশটির লোকসভাতে পাস হলো জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরই আইনে পরিণত হবে এটি।
জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আশ্বস্ত করে পাঁচটি ভাষায় টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, লাদাখি এই পাঁচ ভাষায় টুইট করেন তিনি।
টুইটে মোদি লিখেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে জম্মু-কাশ্মীর ফের রাজ্যে পরিণত হবে। সরকারও চায় না কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহর এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের সাহসকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনেক বছর ধরে কয়েকটি স্বার্থান্বেষী দল যারা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলে করে আসছিল। এখন শুধু ভালো আগামীর অপেক্ষা।
তিনি আরও লিখেন, আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠব। একসঙ্গে ১৩০ কোটির স্বপ্নপূরণ করব। আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক বিল পাস হয়ে গিয়েছে। লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় সেখানকার মানুষদের বিশেষ অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। এই বৈঠককে ঘিরে সকাল থেকেই জল্পনা কল্পনা ছিল তুঙ্গে। অবশেষে তা অবসান হল রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির পর। বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয় জম্মু-কাশ্মীরের। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জম্মু-কাশ্মীরকে পুনর্গঠিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। একটি জম্মু কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ। বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় সংসদ। বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ায় এখন জমি-ফ্লাট কেনা যাবে কাশ্মীরে। অন্য রাজ্যের পুরুষকে বিয়ে করলেও সম্পত্তির অধিকার হারাবে না কোনো নারী। নব্বইয়ের দশকে কয়েক লাখ হিন্দু পণ্ডিতকে বিতাড়িত করা হয় কাশ্মীর থেকে। তাদের প্রত্যাশা, এখন নিজ ভিটায় ফিরতে পারবেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।