Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ফেসবুকে কমেন্ট করে কপাল পুড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর
ঢাকা বিভাগীয় সংবাদ

ফেসবুকে কমেন্ট করে কপাল পুড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর

Saiful IslamMay 15, 20243 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথার সালথা সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে কপাল পুড়েছে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর। জানা যায়, কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন প্রফেসর কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন। এই কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা সময় অনিয়মের অভিযোগ উঠলে স্থানীয় সাংবাদিকরা তা তুলে ধরেন সেই পোস্টে কমেন্ট করেন ঐ শিক্ষার্থী।

এরকম একটি অনিয়মের সংবাদ স্থানীয় এক সাংবাদিক ফেসবুক শেয়ার করেন। আর সেই সংবাদে অধ্যক্ষের অনিয়মের প্রতিবাদ করে ফেসবুকে কমেন্ট করেন হুসাইন মাতুব্বর নামে এইচএসসির এক পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থী কলেজটির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী এবং উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের বাতা গ্রামের মৃত জাফর মাতুব্বরের ছেলে।

শিক্ষার্থীর অভিযোগ, গত বছর অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মনের অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন। যা ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ‘সালথায় দুই কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ আদায় ও খাতা বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। সংবাদটি স্থানীয় নুরুল ইসলাম নাহিদ নামে এক সাংবাদিক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। তাতে শিক্ষার্থী হুসাইন কমেন্ট করে এবং অনিয়মের বিষয়ে আরও তথ্য তুলে ধরে।

তার কমেন্টের অংশ স্ক্রিন শর্ট দিয়ে রাখেন অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন। পরদিন ওই শিক্ষার্থী কলেজে গেলে তার মোবাইলফোন জব্দ করেন অধ্যক্ষ এবং এ ধরনের কমেন্ট কেন করেছে বলে শাসাতে থাকেন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা কলেজে গেলে তাদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটিতে জড়ান অধ্যক্ষ। এর কয়েকদিন পর মোবাইলফোনটি ফেরত দেন অধ্যক্ষ। এরই জের ধরে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা থেকে শিক্ষার্থী হুসাইন মাতুব্বরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আর এ অভিযোগ হুসাইনের।

হুসাইন মাতুব্বর বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের অনিয়মের সংবাদে আমি না বুঝেই ফেসবুকে কমেন্ট করেছিলাম। সেই কমেন্টই আমার গলার কাঁটা হয়ে গেল। আমাকে এইচএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বার বার অধ্যক্ষ স্যারের কাছে আকুতি-মিনতি করলেও কোনো কথায়ই শুনছেন না তিনি। ’

তিনি আরো বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার টেস্ট (মূল্যায়ন) পরীক্ষায় আমি ভালো লিখেছি। কিন্তু আমাকে একাধিক বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে। পরে অধ্যক্ষ স্যারের কাছে গেলে আমাকে আবেদন করে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বলেন। আমি স্যারের কথামতো আবেদন নিয়ে গেলে তা গ্রহণ করেন না। পরে আবার আবেদন দিতে বলেন। পুনরায় আবেদন করলে অধ্যক্ষ স্যার বলেন আবেদনে মারজিন (দাগ) টানা হয়নি। এরপর থেকে তার কাছে আর যেতে দেন না অধ্যক্ষ। ’

হুসাইন বলেন, ‘পরীক্ষার্থীর তালিকা থেকে অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছিল, পরে তাদের অনেককেই অধ্যক্ষ স্যার নিয়েছেন। তাহলে আমার অপরাধ কী, একটা কমেন্ট করেই মহা অপরাধ করে ফেলেছি? আমি প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধান করে পরীক্ষায় অংশ নিতে চাই। ’

ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই শ্রাবণ হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রথমদিকে আমি অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাদ দিয়েছি। এরপর কয়েকদিন আগে অধ্যক্ষ জানান, হুসাইন একাধিক বিষয়ে ফেল করেছে, নেওয়া যাবে না। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের কোন বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে -এটা বোধগম্য হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন বলেন, হুসাইনের সঙ্গে অতীতে কী হয়েছিল তা আমার মনে নেই। এমন কোনো ঘটনার কারণে তাকে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

তিনি বলেন, ওই ছাত্রের বিগত রেজাল্ট ভালো না। সে প্রথম বর্ষে, প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় খারাপ করেছে। এছাড়া আমরা অভিভাবকদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও (ইউএনও) ছিলেন। সবাই একমত হন যে, যারা রেজাল্ট খারাপ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কলেজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই সঠিক।

তিনি জানান, এবার এই কলেজ থেকে ২৪৩ জন নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১২২ জনের মতো টিকছে।

বিষয়টি নিয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষকে ফোন দিয়েছিলাম। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই ছেলে পাঁচ-ছয়টি বিষয়ে ফেল করেছে। এখন যদি ওই ছেলে মনে করে, তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, তাহলে সে কলেজে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারে। আর যদি সে বিষয়ে অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে থাকলে ওই ছাত্র উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
এইচএসসি কপাল কমেন্ট করে ঢাকা পরীক্ষার্থীর পুড়েছে ফেসবুকে বিভাগীয় সংবাদ
Related Posts
Manikganj BADC

বদলির পরও অফিস কক্ষে তালা: মানিকগঞ্জ বিএডিসি কার্যালয়ে অচলাবস্থা

December 17, 2025
Pabna

জমি নিয়ে বিরোধ, বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

December 17, 2025
ওসি ও এএসআইয়ের

সড়কে প্রাণ গেল ওসি ও এএসআইয়ের

December 17, 2025
Latest News
Manikganj BADC

বদলির পরও অফিস কক্ষে তালা: মানিকগঞ্জ বিএডিসি কার্যালয়ে অচলাবস্থা

Pabna

জমি নিয়ে বিরোধ, বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

ওসি ও এএসআইয়ের

সড়কে প্রাণ গেল ওসি ও এএসআইয়ের

রাতে প্রেমিক

রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধাওয়া খেয়ে পুকুরে, তারপর যা ঘটলো

আবাসিক হোটেল

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, নারীসহ ধরা ৬

জহুরা বেগম

মৃত্যুর আগে ‘বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি’ চান জহুরা বেগম

বিজয় দিবসে প্রাণ গেল ওসি

বিজয় দিবসে প্রাণ গেল ওসিসহ ২ পুলিশ কর্মকর্তার

Mira

৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী, পরিবারে উদ্বেগ

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না

Ma

হত্যার পর মায়ের লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন ছেলে

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.