নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেইজ থেকে একটি লাইভ অনুষ্ঠানের সেঞ্চুরি পুরণ রীতিমতো অনেক বড় ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি একটি অবিস্মরণীয় মাইলফলক স্পর্শ করলো।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফেসবুক লাইভের ১০০ তম পর্ব উদযাপন উপলক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড সহিদ আকতার হুসাইন এ কথা বলেন।
‘ফেসবুক লাইভের সেঞ্চুরিতে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ নিয়ে এই বিশেষ পর্বে সভাপতিত্ব করেন তিনি।
ফেসবুক পেইজে এমন আয়োজনের জন্য ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগ ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমার জানামতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এমন লাইভ সেশন পরিচালনা করেনি। লাইভগুলোতে ইতিহাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, আন্তর্জাতিক অবস্থা ও করোনা – এসব বিষয় উঠে এসেছে বিভিন্ন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুক্ত হওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আলোচনায়’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল জবিউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদ, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন অধ্যাপক ড মাহফুজুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজলা ফাতমী ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী মিফতাউল জান্নাতি সিনথিয়া।
অনুষ্ঠানটি গবেষণা ও উপস্থাপনা করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক সাজেদ ফাতেমী।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘ফেসবুক লাইভে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে। সেই সঙ্গে এ দেশের মন্ত্রী, ছয়জন উপাচার্য, দেশ-বিদেশের নামি-দামি চিকিৎসক, গবেষক, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবি, শিল্পী, গীতিকার, সংগীত পরিচালক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, পুলিশ, সাংবাদিক, পরিবেশ বিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক- সবাই এসে আমাদের অনেক বেশি সম্মানিত করেছেন’।
এতো কম সময়ে এতগুলো পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইউনিভার্সিটি প্রশাসন ও জনসংযোগ বিভাগকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে ১০০ লাইভ সম্পন্ন হওয়ায় আমি খুব গর্বিত। তবে এই লাইভগুলো আরও ভালো করতে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ আরও বেশি প্রয়োজন। সেইসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের কথাও শুনতে চাই’।
ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন অধ্যাপক ড মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘করোনাকালে ফেসবুকে এক দেড় ঘণ্টা করে এতগুলো লাইভ করতে পারা অনেক চ্যলেঞ্জিং ব্যাপার ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ সহজেই মোকাবিলা করে সম্পন্ন করা এই লাইভ অনুষ্ঠানগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা যোগসূত্র তৈরি করেছে’।
অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী এবং উপস্থাপক সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘আজ আমার জন্য খুব আনন্দের দিন। ফেসবুকে নিয়মিত লাইভ অনুষ্ঠান ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুরুটা করেছিলাম ২০১৯ সালের ৭ মে। ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় লকডাউন । ইউনিভার্সিটির ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এই লাইভ আবার শুরু করি ২৯ জুন। নভেম্বরে এসে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয় সরকার অনুমোদিত এ দেশের অন্যতম শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুমবাংলাডটকম। তারপর থেকে কোনো কোনো পর্বের ভিউ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এভাবে দুই বছরে চলে এসেছি ১০০তম পর্বে’।
দীর্ঘ পথচলায় সহযোগিতা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাজেদ ফাতেমী।
প্রথম পর্ব থেকেই গবেষণা, উপস্থাপনা ও সমন্বয়ের কাজ করে আসছেন সাজেদ ফাতেমী। তাকে বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে আসছেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজলা ফাতমী, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও ক্রিয়েটিভ সেকশনের ডেপুটি ডিরেক্টর আতিকুজ্জামান লিমন।
অনুষ্ঠানে সদ্য প্রয়াত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাকুল হায়দারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।