বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: আগামী সপ্তাহে বাজারে গ্যালাক্সি এস সিরিজের স্মার্টফোন বাজারজাত শুরু করবে স্যামসাং। নতুন স্মার্টফোনগুলোর উৎপাদনে আরো টেকসই উপাদান ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মাছ ধরার পরিত্যক্ত জাল থেকে উৎপাদিত প্লাস্টিকের মাধ্যমে নতুন ডিভাইস তৈরি করা হবে। খবর এনগ্যাজেট।
স্যামসাং জানায়, আগামী সপ্তাহে বাজারে যে পণ্য আনা হবে, প্রথমে সেগুলোয় নতুন উপাদান ব্যবহার করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে পুরো উৎপাদন কার্যক্রমে এর ব্যবহার বাড়ানো হবে। স্যামসাংয়ের তথ্যানুযায়ী, গ্রেট প্যাসিফিক গারবেজ প্যাচের মতো সমুদ্রদূষণের অন্যতম উপাদান হচ্ছে বাজারজাতে ব্যবহূত পলিথিন ব্যাগ ও প্লাস্টিকের বোতল। কিন্তু ফেলে দেয়া নেট ও মাইক্রোপ্লাস্টিক সমুদ্রবিজ্ঞানীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
মাছ ধরার পরিত্যক্ত গিয়ারের কারণে সমুদ্রে কৃত্রিম ফাঁদ তৈরি হয়। এতে হাওয়াইয়ান মংক সিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রাণ হারায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমুদ্রে ৬ লাখ ৪০ হাজার টন ফিশিং নেট পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে যা পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
পরিত্যক্ত নেটকে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহারের দিক থেকে স্যামসাংই প্রথম প্রতিষ্ঠান নয়। গত বছর মাইক্রোসফট সমুদ্রে থাকা প্লাস্টিক থেকে মাউস তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল। মাউসটিতে ২০ শতাংশ রিকভারড প্লাস্টিক নির্মিত শেল ছিল। সমুদ্রের তলদেশ থেকে প্রাপ্ত প্লাস্টিক ব্যবহারের মাধ্যমে মাইক্রোসফটের পাশাপাশি স্যামসাংও দীর্ঘস্থায়ী টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ২০১৯ সালে ভোক্তা ও পরিবেশবাদীদের ক্রমাগত চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ডিভাইস প্যাকেটজাতকরণে আরো টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।