জুমবাংলা ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যত পুলিশ মারা গেছে, তার পুরো দায় শেখ হাসিনার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। রবিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে। সেদিন শেখ হাসিনা তার সব নেতাকর্মী এবং পুলিশ বাহিনীকে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়ে কাউকে না জানিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে সেদিন অনেক পুলিশ সদস্য মারা যায়। এ আন্দোলনে যত পুলিশ মারা গেছে তার দায় শেখ হাসিনার। তাকে বাংলার মাটিতে শুধু ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে রাখার জন্য আনা হবে।
এছাড়া পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসরদের গ্রেপ্তার করা না হলে আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। আর আরেক সমন্বয়ক মো. মাহফুজ আলম তাকে দেশে এনে বিচার করারও ঘোষণা দিয়েছেন। গত কয়েকদনি ধরেই তারা স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, ‘১৬ বছরের অন্যায়, অত্যাচার, কুকর্মের উপযুক্ত শাস্তি না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমরা আবার রাজপথে নামার আগে এসব খুনী ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন। অপর আরেক স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তির উত্থান ও পুনর্বাসন ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।
এতেই বুঝা যায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও মো. মাহফুজ আলম। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভাসছে এই সমন্বয়করা। ফেসবুক ঘুরে দেখা যায় নেটিজেনরা তাদের প্রশংসা করে পোস্ট করেছেন।
আসিফ খাঁন নামে একজন লিখেছেন, শেখ হাসিনা যে অপরাধ করছে ফাঁসি থেকে আর ভালো কোনো সাজা হয় না। এর থেকে নিকৃষ্ট কোনো সাজা থাকলেও ওরে দেওয়া হোক। বাংলাদেশকে সে তার বাবার দেশ বানিয়ে ফেলেতে চেয়েছিল। তার কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। হাসিনার বিরুদ্ধে এই কঠোর অবস্থানে থাকার জন্য ধন্যবাদ তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও মাহফুজ আলমকে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সঠিক খুনির শাস্তি পেতেই হবে। মাফিয়া রানি শেখ হাসিনা টাকা লুটপাটের জন্য দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এই দেশদ্রোহীর বিচার হতেই হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার জন্য ধন্যবাদ তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও মাহফুজকে।
সিরাজুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ধন্যবাদ নাহিদ ভাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার জন্য। আমাদের এটাই চাওয়া ছিল। আশা করি আপনার মাধ্যমেই তাকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
কেউ কেউ ফেসবুকে রিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই চার সমন্বয়করাই মূল ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের জন্যই দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা ধরে রাখার জন্য ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে সরকারকে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনলে স্বাধীনতার সুফল সবাই ভোগ করবে। নয়তো আবার তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে।
রিফাতের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তার নানা
আবার কেউ লিখেছেন, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মাহফুজ ও সারজিসকে ধন্যবাদ। কারণ তারা বরাবরই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সরকারকে জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে। নয়তো ভারত বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করেই যাবে। তাদেরকে ধ্বংস না করলে দেশে শান্তি স্থিতিশীলতা থাকবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।