জুমবাংলা ডেস্ক : পর্দা এবং বাস্তবজীবনে অভিনয়ে সমানভাবে পারদর্শী চঞ্চল চৌধুরী। এমনকি চঞ্চলের পর্দার বাইরের অভিনয় যেন অতিক্রম করেছে সকল সীমানা। কখনও গান শুনিয়ে তো কখনও বক্তব্য দিয়ে আবার কখনও হাসিনার পায়ে লুটোপুটি খেয়ে আওয়ামীলীগের দালালিতে নাম্বার ওয়ান পজিশন ধরে রেখেছেন চঞ্চল। তার এমন পা চাটা নোংরা মানসিকতা কারনে বহুবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি তবু যেন একটুও গায়ে লাগেনা সেইসব মন্তব্য। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পা চেটেই যেন কুল পাচ্ছেন না তিনি। যেন মধ্য প্রাচ্যের সকল তেলের দায়িত্ব নিয়েছেন চঞ্চল আর সেই তেল দিয়েই করতেন হাসিনার দালালি।
ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন-কারী হাসিনা দেশের সকল সেক্টরে যেন তার ভয়ঙ্কর থাবা বসিয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে মমতার থেকে ধার করেছিলেন তারকাদের নিজের দলে নিয়ে নেওয়া। যেহেতু তারকাদের অনেক ভক্ত দর্শক রয়েছে তাই তারা হাসিনার পক্ষে দালালি করতে পারবে এবং ভক্তরাও কিছু বলবে না কেননা তারা ভাববে তাদের প্রিয় অভিনেতা হয়তো ঠিকই বলছে। এভাবেই নিজেদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে জনগণকে বোকা বানানোর খেলায় মত্ত ছিল ঢালিউডের অনেক তারকা। চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজ,ফেরদৌস, মাহিয়া মাহি,জায়েদ খান, নিপুন আক্তার,অরুনা বিশ্বাস,মিলন,চঞ্চল সহ আরও অনেকে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে এই গ্যাং আলো আসবেই নামে একটি গ্রুপ খুলে সেখানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে নানা রকম প্রোপাগাণ্ডা ছড়াতে থাকে যার নেতৃত্ব প্রদানকারী এই তেলের ব্যবসায়ী চঞ্চল চৌধুরী।
সাম্প্রতিক সময়ে চঞ্চলের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে যা রীতিমতো ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায় চঞ্চল চৌধুরী হাসিনার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন আবার কখনও গান শোনাচ্ছেন এতো ভক্তি নিয়ে যে ভক্তি হয়তো মন্দিরে গিয়ে দেবীকেও করেন না তিনি। আবার দেখা গেছে শেখ মুজিবকে নিয়ে নানা বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দিচ্ছেন। এছাড়াও একটি ভিডিওতে দেখা যায় তেলের ডিলার চঞ্চল চৌধুরী হাসিনার পায়ে উপুর হয়ে পরে তেল মালিশ করছেন অবিরত। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে মোশাররফ করিম,সিয়াম রহমান,বাঁধন, সাদিয়া আয়মান,সালমান মোক্তাদির সহ অনেক তারকা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালেও কোন ধরনের অনুশোচনা দেখা যায়নি চঞ্চলের মধ্যে বরং তিনি সে সময় গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছে বিনোদন জগতের লোকজন। এ বিষয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক বশির আহমেদ বলেন,’রাষ্টের প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন আপনি তার সাথে কথা বলবেন, আন্তরিকতা প্রকাশ করবেন এটির মধ্যে আমি কোন অপরাধ দেখছি না বরং এটা অপরাধ তখনই হয় যখন আপনি নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজেকে বিকিয়ে দিবেন। তখন কেবল আপনার সন্মানই নয় বরং আমাদের শিল্পীদের গায়ে এই কলঙ্কের কালিমা লেগে যায়। এছাড়া অভিনেতা শাহেদ ওসমান রোমেল বলেন, আমরা চরমভাবে বিব্রত এবং লজ্জ্বিত। এই সমস্ত অভিনেতাদের কারনে আমাদের অসন্মানিত হতে হয়।
সম্প্রতি ভারতীয় আরেক দালাল, টেলিভিশন উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের সাথেও চঞ্চলের বেশ সখ্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার গৃহপালিত দালাল চঞ্চল চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনা হোক এমন দাবি তুলছে অনেকেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।