জুমবাংলা ডেস্ক : হঠাৎ পৌর শহরের সড়কের পাশে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করেন এক যুবক। আশপাশের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই অন্তত ২০ গাড়ির কাঁচ, লাইটসহ বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি মিলে ওই ছেলেকে আটক করে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকালে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর এলাকায় ঘটেছে।
ওই যুবকের নাম হারেছ রাকিব (২০)। তিনি জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামের ফজল হকের ফজল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলে মানসিক ভারসাম্য হারায় রাকিব। মঙ্গলবার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের বসুন্ধরা মোড়ে থাকা অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় রাস্তার পাশে রাখা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্তত ২০টি গাড়ি লাঠির আঘাতে ভাঙচুর করেন রাকিব। এক পর্যায়ে বসুন্ধরা মোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালক ও মালিকরা রাকিবকে আটক করে। তার দুই হাত বেঁধে একটি ভবনে আটকে রাখা হয়।
এ সময় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মানসিক ভারসাম্যহীন রাকিবকে তার বাবা ফজল হকের কাছে দিয়ে দেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীর আশ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তরা রাকিবকে ছেড়ে দেয়। পরে রাকিবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ভাঙচুরের ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শহরের বসুন্ধরা প্লাজার ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই ছেলেটা অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। হয়তো পাগল নয়তো অতিরিক্ত নেশা করেছে। হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সড়কে থামানো সব গাড়ি ভাঙচুর করছিল। পরে লোকজন নিরুপায় হয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে বেঁধে রেখেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, রাকিব সুস্থ ছিল। প্রায় দুই বছর আগে মোবাইলে অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্রি-ফায়ার গেম খেলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানোর পর কিছুটা ভালো হয়েছিল। গত ছয়মাস ধরে সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে থেকে আবারো রাকিবের মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ওই যুবকের বাবা ফজল হক বলেন, রাকিব আগে অতিরিক্ত সময় মোবাইল নিয়ে বসে থাকতো। গেম খেলত। এসব কারণে তার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে তাকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করা হয়। এখন আবারো তার সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার এসআই মো. মজিবুর রহমান বলেন, গাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে গিয়ে ওই যুবককে বাঁধা অবস্থায় পাই। পরে তার বাবার কাছে ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। ছেলেটাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে। কী কারণে এমন অবস্থা তার এ বিষয়ে জানা নেই। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির কোনো মালিক এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।