জুমবাংলা ডেস্ক: ‘বউ বউ করে মরেই গেলো আমার ছেলেটা। বলেছিলাম আবার বিয়ে করাবো। কিন্তু বউয়ের প্রতি এতো ভালোবাসা, এতো টান ছিল অবশেষে জীবন দিয়ে দিল।’ ছেলে মারা যাবার শোকে এভাবেই শোকে বিলাপ করছিলেন আত্মহত্যাকারী যুবক আলমগীরের (২৫) মা ফাতেমা খাতুন।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গহিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহননকারী মো. আলমগীর এলাকার মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের মা ফাতেমা খাতুন ও প্রতিবেশীর সূত্রে জানা যায়, গত আড়াই বছর পূর্বে আলমগীরের সঙ্গে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খৈয়াখালি গ্রামের জেরিন আকতারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের তিনমাস পর দুবাই চলে যান আলমগীর। করোনাকালীন দেশে ফেরার পর বেকার হয়ে পড়ে আলমগীর।
এরপর থেকে স্ত্রী তার স্বামীকে একাধিকবার ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। ৪ মাস পূর্বে মুখ দিয়ে স্বামীকে তালাক দেওয়ার কথা বের করায় পুনরায় কাবিনও হয়েছিল। এরপর গত তিনমাস আগে স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে স্ত্রী জেরিন স্বেচ্ছায় তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ডিভোর্স লেটার পেয়ে মেয়ে পক্ষের দেওয়া আসবাবপত্র পাঠিয়ে দেন আলমগীরের পরিবার। কিন্তু আলমগীর তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পক্ষে ছিলো না। স্ত্রীকে বার বার ঘরে ফেরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় সর্বশেষ নিজ শয়নকক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহননকারীর মা ফাতেমা খাতুন বলেন, বউ যেহেতু কাবিনের টাকা দাবি ছাড়া স্বেচ্ছায় ডিভোর্স দিয়েছে, সেখানে আমাদের করণীয় কিছুই থাকে না। আইনি প্রক্রিয়ায় ডিভোর্স দিয়েছে তাতে বলারও কিছু নেই।
এই বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



