জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, বিবিপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি রোববার বগুড়ায় অবস্থিত বিমান বন্দরের শর্ট ফিল্ড টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (স্টল) রানওয়ে পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি রানওয়ের কৌশলগত গুরুত্ব, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক, প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বিশদ আলোচনা করেন।
পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বগুড়ার এই বিমান বন্দরটি ব্যবসা-বাণিজ্য, রোগী পরিবহন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, দ্রুত সেনা মোতায়েনসহ সামরিক ও বেসামরিক কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ’পর্যায়ক্রমে এটি সামরিক ও বেসামরিক উভয় বিমান চলাচলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। যা জাতীয় স্বার্থে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।’
বর্তমান অবস্থায় বগুড়া বিমান বন্দরের রানওয়ে ৪৫০০ ফুট দীর্ঘ। যা জরুরি ভিত্তিতে ছোট আকারের বিমান অবতরণের জন্য উপযোগী। বিমান বাহিনী প্রধান জানান, রানওয়ে ৬ হাজার ফুটে উন্নীত করার পর অভ্যন্তরীণ ছোট বিমান চলাচল সম্ভব হবে। আর ৮ হাজার ফুট রানওয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, রানওয়ের সংস্কার ও বর্ধিতকরণের কাজ অর্থ প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই বগুড়া বিমান বন্দরটি চালু করা সম্ভব হবে।
বিমান বন্দর পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতি (বাফওয়া)-এর সভানেত্রী সালেহা খান শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। বাফওয়া প্রতি বছর শীতার্ত ও দরিদ্র মানুষের জন্য এই ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল জনাব মোঃ মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া, ওএসপি, বিইউপি, এনডিসি, এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি), বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা, জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।